বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির সঙ্গে শেখ হাসিনার জমানায় নিষিদ্ধ ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র সংঘাত আবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল। উপলক্ষ, জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনের ‘সময়’।
বিএনপি নেতৃত্ব ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ালেও জামাত নেতৃত্ব স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা চলতি বছরে ভোট চান না। সোমবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার ‘ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি’তে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সে কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তাঁরা। বৈঠকের পরে জামাতের ‘নায়েবে আমির’ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘‘কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রথম হচ্ছে সংস্কারের বিষয়। আমরা বলেছি, জুলাইয়ের ভেতরে এই সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। অনেক বিষয় ঐকমত্য হয়েছে। কিছু বিষয়ে সামান্য দ্বিমত রয়েছে বিভিন্ন দলের মধ্যে।’’
আরও পড়ুন:
এর পরেই ভোটের ‘সম্ভাব্য নির্ঘণ্টের’ প্রসঙ্গ তোলেন জামাতের নেতা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল বলেছে ডিসেম্বরের মধ্যে। আর আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি জুন এবং মে মাস আবহাওয়াগত ভাবে নির্বাচনের উপযোগী নয়। তাহলে মে, জুন বাদ দিলে ওঁর (প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস) প্রতিশ্রুতি পূরণের যে সময়সীমা, তা হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল। এর মধ্যে একটি রোজা রয়েছে। আমরা বলেছি, এর ভেতরেই আপনি একটি তারিখ ঘোষণা করুন।’’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সম্প্রতি বলেছিলেন, “নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনও সংস্কারের কাজ স্থায়িত্ব পেতে পারে না। এই কারণেই আমরা দ্রুত নির্বাচন চাইছি।” কিন্তু জামাত নেতৃত্ব সোমবার জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির উপর তাঁরা আস্থাশীল।