নিষেধাজ্ঞার হুমকি হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে কিমের দেশ। ৩ দিন আগে পঞ্চম বার পরমাণু পরীক্ষার পরে উত্তর কোরিয়ার উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। রবিবার তাকেই হাস্যকর বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া সরকার।
বিবৃতি দিয়ে তারা আজ বলেছে, ‘‘ওবামা গোষ্ঠীর এই ছোটাছুটি আর অর্থহীন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুর চড়ানো অত্যন্ত হাস্যকর। ওবামাদের ‘কৌশলগত ধৈর্য নীতি’র দিন শেষ। তা ছাড়া ওদের এখন ব্যাগপত্তর গুছিয়ে চলে যাওয়ার পালা।’’ তার পর তাদের বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেও স্পষ্ট করেছি, এখনও বলছি পরমাণু শক্তি বাড়িয়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমেরিকার মতো দেশের কাছ থেকে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা এড়িয়ে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য।’’ পরীক্ষার দিনই উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, গত পরমাণু বিস্ফোরণগুলির চেয়েও শক্তিশালী এ বারের বিস্ফোরণ।
তাতে ওবামা বলেন, ‘‘আমেরিকা কখনওই উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি। আর নেবেও না।’’ এই প্রসঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারিরও প্রস্তাব করেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্তের নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জও। সে দেশের উপরে নয়া নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সওয়াল করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হেইও এক বিবৃতিতে কিমের এই কাজের নিন্দা করে বলেন, ‘‘নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনছে উত্তর কোরিয়া।’’ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু দূত চিনের দূতকে জানিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক পরীক্ষা থেকে স্পষ্ট, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। কিম জং উন সে পথ থেকে সরতে নারাজ। কিম প্রশাসনের দাবি, তাদের দেশের মানুষ মনে করেন পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অবস্থান আর অস্বীকার করতে পারবে না তাদের শত্রুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy