গাজ়ায় বন্দি সমস্ত মানুষকে শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হিব্রু ভাষায় বক্তৃতা করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ দিন ভাষণ দেওয়ার সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেন নেতানিয়াহু।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগামী দিনে বন্দিদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যেই ইজ়রায়ালের প্রতিনিধি দলকে ইজিপ্টে যেতে বলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেতানিয়াহুর দাবি, ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছেন ট্রাম্প। বেঞ্জামিনের আরও দাবি, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপের জন্যই এর আগে বন্দিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল হামাস। তিনি বলেন, ‘‘সহজ বা কঠিন যে কোনও পন্থায় পরবর্তী পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্র ও গাজাকে সামরিক বাহিনী মুক্ত করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, বেঞ্জামিনের বক্তব্যের ঠিক আগেই ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ এক্স হ্যান্ডলে তাঁর উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যান।’’ পরে তিনি আবারও সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘‘শান্তি, নিরাপত্তা ও বন্দিদের মুক্তির আশায় ইজ়রায়েলবাসী ঐক্যবদ্ধ।’’ ট্রাম্পের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পরিবর্তনের জন্য সঠিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব ও নৈতিক অবস্থান আশা জুগিয়েছে।’’ ‘প্রয়োজনীয় ভূমিকা’ গ্রহণের জন্য বেঞ্জামিনের প্রতি এ দিন ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
বেঞ্জামিনের বক্তব্যের সময়ে তেল আভিভের হোস্টেজ স্ক্যোয়ারের চার পাশে জমায়েত করেছিলেন অনেক মানুষ। তাঁরাও চান হামাস ও ইজ়রায়েলের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হোক। প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত থামানো ও গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রস্তাবিত ২০ দফা শর্তে আগেই রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল। তবে হামাস প্রাথমিক ভাবে তাতে রাজি ছিল না। পরে অবশ্য ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ‘আভাস’ দিয়েছিল তারা। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনও ভাবেই দেরি মেনে নেওয়া হবে না।