প্রায় চার মাস পর বাংলাদেশে ফিরলেন বিএনপি নেত্রী তথা সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। চিকিৎসার প্রয়োজনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় অনুসারে ১০টার কিছু পরে কাতার রাজপরিবারের বিশেষ বিমানে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরেন তিনি। খালেদার সঙ্গে তাঁর দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও ফিরেছেন বাংলাদেশে।
বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির মধ্যে বেশ কয়েক বার রাজনৈতিক ঠোকাঠুকি এবং একে অন্যকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই চাপানউতরের মাঝে মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরলেন বিএনপি নেত্রী।
মঙ্গলবার ঢাকা বিমানবন্দরে খালেদাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-সহ দলের অন্য নেতারা। বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গুলশনের ফিরোজা পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড এবং খালেদার ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা। বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করাতে চায় তারা।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিএনপি এবং এনসিপি নেতারা একে অন্যকে আক্রমণ শানিয়েছেন। সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়েই এনসিপিকে সাজানো হয়েছে। আবার এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসন বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি এনসিপি শিবিরের একাংশের। রাজনৈতিক এই আক্রমণ এবং প্রতি-আক্রমণের মাঝে মঙ্গলবার খালেদার বাংলাদেশে ফেরার পর সে দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশি জনতারও।