কানাডায় তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল ভারতীয় তরুণীর দেহ। কানাডার অটোয়া শহরের যে কলেজে তিনি পড়তেন, সেই কলেজের কাছেই একটি সমুদ্রসৈকতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের নাম বংশিকা সাইনি (২১)। তিনি পঞ্জাবের দেরা বস্সির বিধায়ক কুলজিৎ সিংহ রান্ধওয়ার ঘনিষ্ঠ আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা দেবেন্দ্র সাইনির কন্যা। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে অটোয়ায় এক কলেজে পড়াশোনা করছিলেন বংশিকা।
গত ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না আপ নেতার কানাডা নিবাসী কন্যার। সমাজমাধ্যমের একটি পোস্ট অনুসারে, কানাডায় যে বাড়িতে বংশিকা থাকতেন সেখান থেকে শুক্রবার রাত ৮-৯টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন তিনি। একটি নতুন ভাড়াবাড়ি খুঁজছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, বংশিকার মোবাইলও ‘সুইচড অফ’ হয়ে রয়েছে। পরের দিন তাঁর একটি পরীক্ষাও ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে যাননি তিনি। বংশিকা এমন কাজ সচরাচর করেন না বলেই দাবি করা হয় ওই সমাজমাধ্যম পোস্টে। মঙ্গলবার কানাডায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। কী কারণে বংশিকার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
বংশিকার ঘনিষ্ঠেরা জানান, সাধারণত প্রতি দিন সকালে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। কিন্তু ২৫ এপ্রিলের পর থেকে বংশিকার কোনও ফোন পাননি তাঁরা। তরুণীর বাবা আপ নেতা দেবেন্দ্র জানান, গত শুক্রবার মেয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল। ওই সময়ে কথাবার্তা স্বাভাবিকই লেগেছিল তাঁর।
আরও পড়ুন:
দেড় সপ্তাহ আগেই কানাডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। হরসিমরত রান্ধওয়া নামে ওই তরুণী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। স্থানীয় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে ওই রাস্তা দিয়ে গুলি চালাতে চালাতে যাচ্ছিলেন দুই গাড়িচালক। আচমকাই একটি গুলি এসে লেগেছিল হরসিমতের বুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার কানাডায় আরও এক ভারতীয় তরুণীর মৃত্যু হল।