নারীর নিজের শরীরের উপরে এবং সন্তানের জন্ম দেওয়া বা না-দেওয়ার সিদ্ধান্তের অধিকার আদায়ে লড়াই শুরু হয়েছিল অনেক দিনই। দাবি ছিল, রানি ভিক্টোরিয়ার যুগের ব্রিটিশ আইন সংশোধন করে গর্ভপাতের অধিকারকে সময়সীমা বাড়ানো হোক। মঙ্গলবার ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হল।
ভ্রূণের বয়স ২৪ সপ্তাহের বেশি হলে গর্ভপাত ‘ফৌজদারি অপরাধ’ বলে চিহ্নিত ছিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে। কিন্তু মঙ্গলবার ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ৩৭০-১৩৭ ভোটে সেই আইন বাতিলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও পুরনো আইনে ২৪ সপ্তাহের বেশি বয়সি ভ্রূণের গর্ভপাতে সহায়তকারী চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের বিচারের যে বন্দোবস্ত ছিল, নতুন সংশোধনীতে তা বহাল রাখা হয়েছে। ফলে কার্যক্ষেত্রে তা কতদূর ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট কিছু দিন আগেই গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের দাবি খারিজ করে সে দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের উপর এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স সম্প্রতি ব্রিটেনে গর্ভপাত বাফার জোন আইনগুলির সমালোচনা করেছিলেন। বাফার জ়োন হল ক্লিনিকের বাইরের নির্দিষ্ট এলাকা, যেখানে পুলিশ গর্ভপাত ক্লিনিকে যাওয়া অন্তঃসত্ত্বাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে। এ বার এক ধাপ এগিয়ে আইন সংশোধন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সরকার স্পষ্টতই ওয়াশিংটনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর বার্তা দিল।