Advertisement
E-Paper

রফতানি নিয়ন্ত্রণ তো নিষেধাজ্ঞা নয়! ট্রাম্প ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপানোর পর ব্যাখ্যা দিল বেজিং, কারা কারা পাবে ছাড়?

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন চিনের সমস্ত পণ্যে। তার মাঝেই এই নীতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিল চিন। জানাল, নিয়ন্ত্রণ মানে নিষেধাজ্ঞা নয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১৫
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিরল খনিজের রফতানিতে নিয়ন্ত্রণের নীতি নিচ্ছে বেজিং। গত বৃহস্পতিবার সেই মর্মে বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি গিয়েছে। তার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষোভ উগরে দেন। ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন বেজিঙের সমস্ত পণ্যে। এই নীতি নিয়ে এ বার ব্যাখ্যা দিল চিন। আমেরিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই জানাল, নিয়ন্ত্রণ মানে নিষেধাজ্ঞা নয়।

বিশ্ব বাজারে বিরল খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। চাহিদাও বিপুল। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি, যন্ত্রপাতি, সামরিক সরঞ্জাম— বিবিধ ক্ষেত্রে বিরল খনিজ প্রয়োজন হয়। এই পণ্যে চিন বরাবর সমৃদ্ধ। চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিবার বলেছেন, ‘‘বিরল খনিজ ও সেই সংক্রান্ত কিছু পণ্যে রফতানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত চিনের আইন অনুসারে রফতানি ব্যবস্থা পরিমার্জনের একটি বৈধ পদক্ষেপ।’’ বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করতে এই সিদ্ধান্ত সাহায্য করবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিরল খনিজে নিয়ন্ত্রণের নীতি ব্যাখ্যা করে চিনা মুখপাত্র বলেন, ‘‘এই রফতানি নিয়ন্ত্রণ আদৌ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নয়। যোগ্য আবেদনকারীদের বিরল খনিজ কেনার লাইসেন্স দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ ঘোষণা করার আগেই চিন বিভিন্ন দেশকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছিল। বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও সুরক্ষিত করতে, রফতানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অন্যান্য দেশের মিলেমিশে কাজ করতে প্রস্তুত বেজিং।’’

কী ভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নীতি বাস্তবায়িত হবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘‘চিন দায়িত্বশীল দেশ। সবসময় আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিই। বিচক্ষণতার সঙ্গেই এই নীতি বাস্তবায়িত করা হবে।’’

অসামরিক কাজে বিরল খনিজ ব্যবহার করতে চাইলে ছাড় মিলবে, জানিয়েছেন মুখপাত্র। কোন কোন আবেদনকে মান্যতা দেওয়া হবে? তিনি বলেন, ‘‘অসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য রফতানির সকল আবেদন গ্রাহ্য হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যে কোনও সঙ্কট আসবে না। বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে সকল দেশের সঙ্গে মিলে কাজ করবে চিন।’’

বিরল খনিজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাম্প শনিবার চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন। চিনের সকল পণ্যের ক্ষেত্রেই আমেরিকায় রফতানিতে বাড়তি শুল্ক প্রযোজ্য হবে ১ নভেম্বর থেকে। এত দিন চিনের পণ্যে মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ। নতুন নির্দেশ কার্যকর হলে মোট ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে বেজিংকে।

China US China Bejing Xi Jinping Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy