রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল চিন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকারের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বিদেশনীতি বিষয়ক বিভাগের প্রধান কাজ়া ক্যালাসকে বলেন, ‘‘বেজ়িং কোনও অবস্থাতেই ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেবে না।’’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি কেন এমন দরাজ সমর্থন জিনপিংয়ের? একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং’-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়া পরাস্ত হলে আমেরিকার এক মাত্র নিশানা হবে চিন। তবে যুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াং। ইইউ কর্তা কাজ়াকে তিনি বলেন, ‘‘চিন যদি রাশিয়াকে সাহায্য করত, তা হলে অনেক আগেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যেত।’’
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানীতে সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। হামলায় ১৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫০টিরও বেশি ড্রোন অংশ নিয়েছিল। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও হামলার অভিঘাত কমায়নি মস্কো।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের পাশাপাশি চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের বিরুদ্ধেও রাশিয়ার হয়ে লড়তে সেনা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু দিন ধরেই। গত বছর সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি লা ডায়ালগ’ নামের প্রতিরক্ষা সম্মেলনে বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেছিলেন, ‘‘চিনের তরফে রাশিয়াকে মদতের কারণে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।’’ বেজিং বরাবরই মস্কোকে সেনা-সাহায্য দেওয়ার কথা অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু ইউক্রেনের ডনেৎস এলাকায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রুশ ফৌজের হয়ে লড়তে আসা দুই চিনা সেনাকে গ্রেফতার করেছিল ইউক্রেন।