গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মঞ্জুর করেছিল হাই কোর্ট। এখনও তাঁর জেলমুক্তি হয়নি। তার মাঝেই চিন্ময়কৃষ্ণকে ফের গ্রেফতার করা হচ্ছে অন্য একটি মামলায়। চট্টগ্রাম আদালত তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্টের’ (গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আবার গ্রেফতার) নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের মামলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতচত্বরে অশান্তি হিংসাত্মক রূপ নিয়েছিল। সেই হিংসায় প্রাণ যায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের। অভিযোগ, আদালতচত্বরে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় সাইফুলকে। সেই ঘটনাতেই এ বার চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই আবেদনই সোমবার গ্রাহ্য করলেন চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ। সোমবার এই সংক্রান্ত ভার্চুয়াল শুনানিতে ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই শুনানিতে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম।
আরও পড়ুন:
আইনজীবীর মৃত্যুর পর সেই সংক্রান্ত ছ’টি মামলায় মোট ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মূল অভিযুক্তেরা হলেন চন্দন দাস, রিপন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। এখনও এই মামলায় ধৃত ২১ জন জেলে রয়েছেন।
বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের শেষ দিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। তাঁর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছিল। চট্টগ্রাম-সহ একাধিক এলাকায় অশান্তি হয়। সেই মামলায় দীর্ঘ পাঁচ মাস জেলে থাকার পর অবশেষে হাই কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে সেই আবেদনের বিরোধিতা করে উচ্চতর আদালতে জামিন স্থগিতের আর্জি জানানো হয়েছে। তার মাঝেই অস্বস্তি বাড়ল চিন্ময়কৃষ্ণের।