সংস্থার অধিকর্তা হয়ে সেই সংস্থারই এক ঊর্ধ্বতন মহিলাকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে ছিলেন। কনসার্টে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় তাঁদের আড়ালে-আবডালে গজিয়ে ওঠা সম্পর্ক। তার পর থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোনমার’-এর সিইও অ্যান্ডি বাইরন এবং তাঁর সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে হাসি-মশকরাও শুরু হয়েছে। এই আবহে বিতর্কিত দৃশ্য বছর ছাব্বিশের যে তরুণী ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন, তিনি মুখ খুললেন।
ওই তরুণীর নাম গ্রেস স্প্রিংগার। তিনি ব্রিটিশ রক ব্যান্ড ‘কোল্ডপ্লে’র অন্ধ অনুরাগী। স্প্রিংগারের তোলা ভিডিয়োতেই ধরা বাইরন এবং ক্যাবটের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা এবং বিতর্ক তুঙ্গে তখন এই বিষয়ে মাত্র ছ’টি শব্দে নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্প্রিংগার। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বোকা খেলা খেলুন, বোকা পুরস্কার জিতুন।” পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “খারাপ লাগছে যে, আমার জন্য কিছু মানুষের জীবন পুরো ওলটপালট হয়ে গেল। কিন্তু বোকা খেলায় বোকা পুরস্কার জেতে মানুষ। আমি আশা করি এই মানুষগুলোর সঙ্গীরা আবার ভালবাসার দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন এবং যে আনন্দ তাঁদের প্রাপ্য, তা তাঁরা পাবেন।”
স্প্রিংগার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি জানতেন না কাদের ছবি তুলছেন। কনসার্টের শ্রোতাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলতে গিয়ে হঠাৎ থমকে যায় তাঁর ক্যামেরা। তার পর সেটি স্টেডিয়ামের পর্দায় তুলে ধরা হয়। ব্যান্ডের গায়ক ক্রিস মার্টিনের নজরে পড়ে অ্যান্ডি এবং ক্রিস্টিনের ভিডিয়ো। পর্দায় নিজেদের দেখে সঙ্গে সঙ্গে মুখ লুকোনোর জন্য বসে পড়েন অ্যান্ডি। কী করবেন বুঝতে না পেরে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে পিছনে ঘুরে যান ক্রিস্টিন। মঞ্চ থেকে যুগলের এই কাণ্ড দেখে আসল ঘটনা না জেনেই ক্রিস বলে ওঠেন, ‘‘হয় তাঁরা খুব লজ্জা পাচ্ছেন, নয়তো তাঁদের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।’’ ক্রিসের কথা শুনে দর্শকের মধ্যে হইহই পড়ে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যান্ডি তাঁর স্ত্রী মেগান কেরিগান বাইরন এবং দুই সন্তান নিয়ে নিউ ইয়র্কে থাকেন। এই ঘটনার পর মেগানকে সহানুভূতি জানানোর জন্য অনেকেই সমাজমাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। একাংশের দাবি, সমাজমাধ্যম থেকে ইতিমধ্যেই স্বামীর পদবি সরিয়ে ফেলেছেন মেগান। তবে এই ভিডিয়ো নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অ্যান্ডি এবং ক্রিস্টিন। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়েও প্রকাশ্যে কিছু ঘোষণা করেননি সংস্থার অধিকর্তা এবং তাঁর স্ত্রী।