Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

উহানের পর ঢাকায় ২১ দিনে প্রস্তুত বসুন্ধরা গ্রুপের ২০১৩ বেডের করোনা হাসপাতাল

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন মনে করবে  ততদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টার সহ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ব্যবহার করা যাবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ২০১৩ বেডের করোনা হাসপাতাল ।   নিজস্ব চিত্র।

বসুন্ধরা গ্রুপের ২০১৩ বেডের করোনা হাসপাতাল । নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ২২:০৬
Share: Save:

চিন উহানে দশদিনে করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল বানিয়ে চমকে দিয়েছিল। এর পর আর এক চমক তৈরি করল বাংলাদেশের উদ্যোক্তাগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ ও দেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২১ দিনে তারা প্রস্তুত করে ফেলেছে ২ হাজার ১৩ বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল। দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াতে রোগ মেকাবিলায় অস্থায়ী হাসপাতালটির জন্য আড়াই লক্ষ বর্গফুট জায়গা তারা সরকারকে অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করতে দিয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সিটি জুড়ে থাকা পরিকাঠামোতেই স্থাপন করা হয়েছে শয্যা ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। যার তত্ত্বাবধান করেছে দেশের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর জানালেন, "দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় শুধু সরকারের উদ্যোগই নয়, দেশের প্রধান বেসরকারি শিল্প-উদ্যোক্তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেই মানুষের প্রতি দায়বোধ থেকেই তাঁরা এগিয়ে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন মনে করবে ততদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টার সহ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ব্যবহার করা যাবে।

গত এপ্রিলের ১২ তারিখে নির্মাণ শুরু করে তিন সপ্তাহেই উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে এই অস্থায়ী হাসপাতালটি। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেড ২ হাজার ১৩টি। ছয়টি ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড বসেছে। এছাড়া তিনটি কনভেনশন হলে থাকছে আরও ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে ৭১ বেডের আইসিইউ থাকছে। এখানে থাকছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাও। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্রুত উদ্বোধনের পরই শুরু হবে চিকিৎসা কার্যক্রম। ইতিমধ্যে পরিচালক হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম বারে বারে চালিয়ে দেখা চলছে এখন। দেখে নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের সংযোগগুলোও। আইসিসিবি-র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীমউদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর মাঝেই হাসপাতালের প্রায় সব ধরনের সরঞ্জাম প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। আইসিইউ-র কিছু কাজ বাদে সবই প্রস্তুত। এখন যে কোনও সময় রোগী এলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় মৃত প্রায় ২০০, আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল প্রস্তাবিত এলাকা দেখে ও পর্যালোচনা করে এই অস্হায়ী হাসপাতালটির উদ্যোগ নেওয়ার পরে সেখানে এই হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়।

ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী হাসপাতালটির উদ্বোধন আগামী সপ্তাহের যে কেনও দিনই হতে পারে।

আরও পড়ুন: জীবন বনাম জীবিকা, জেরবার বাংলাদেশ

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Dhaka Bangladesh Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE