ইয়েমেনের তেলের বন্দর রাস ইশায় হামলা চালাল আমেরিকার যুদ্ধবিমান। শুক্রবার সকালের এই বিমানহানায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রক হুথি বিদ্রোহীরা। হামলার ‘জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টিকম) তরফে জানানো হয়েছে, হুথি বিদ্রোহীদের জ্বালানির উৎসে আঘাত হানার উদ্দেশ্যেই এই অভিযান। প্রসঙ্গত, গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকেই ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আমেরিকা ও ইউরোপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় বাণিজ্যিক জাহাজও। পাশাপাশি, ইজ়রায়েল ভূখণ্ড নিশানা করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলেছে তারা।
আরও পড়ুন:
কয়েক মাস আগেই পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনা হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে শুরু করেছে। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর সরকার শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার থেকেও তারা অস্ত্রসাহায্য পায় বলে অভিযোগ। গত বছরের ডিসেম্বরে হুথি বাহিনী ইজ়রায়েলে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্যালেস্টাইন-২’ দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকে ইজ়রায়েলও ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনে।