আদর্শ এবং সংস্কৃতির ঐতিহ্যের নিরিখে তাঁদের অবস্থান উচ্চতর বলে দাবি করলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। আর সেই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি হাতিয়ার করলেন ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের উদ্দেশ্যে কায়েদ-ই-আজ়ম মহম্মদ আলি জিন্নার ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’কে।
বিভিন্ন দেশে কর্মরত পাক রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে বক্তৃতায় জেনারেল মুনির বলেন, ‘‘আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তাঁরা একটি উন্নততর ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক। আপনাদের অবশ্যই আপনার সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা পৃথক। এটিই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি।’’
আরও পড়ুন:
ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরা দু’টি পৃথক জাতি বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল মুনির। ওই সম্মেলনে কাশ্মীর এবং বালোচিস্তান প্রসঙ্গও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। এসেছে পাকিস্তানে বিদ্রোহী তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) এবং বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, ‘‘কাশ্মীর হল ইসলামবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনও তাকে ভুলতে পারবে না।’’ অন্য দিকে, বালোচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বালোচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব! তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে? ১০ প্রজন্মের মধ্যে কেড়ে নিতে পারবে না।’’ টিটিপি বিদ্রোহীদেরও পাক সেনা দ্রুত পর্যুদস্ত করবে দাবি করে পাক রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে জেনারেল মুনিরের প্রশ্ন, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ভারতের সেনার সংখ্যা ১৩ লক্ষের বেশি। তবুও আমরা তাদের পরোয়া করি না। জঙ্গিরা তো কোন ছার।’’