Advertisement
E-Paper

আমেরিকানদের মাথাপিছু ২ হাজার ডলার করে দেবেন ট্রাম্প! ‘বন্ধু’ দেশগুলির উপর চাপানো শুল্কের ক্ষোভ কমাতেই সিদ্ধান্ত?

শুল্কের কারণে অনেক ‘বন্ধু’ দেশের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্কনীতি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরের সেই ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০৬
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার নাগরিকদের মাথাপিছু ১.৭ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দেশের উপর আমেরিকা যে শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে, তা নিয়ে সেখানকার নাগরিকেরাও অসন্তুষ্ট। এর ফলে অনেক ‘বন্ধু’ দেশের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্কনীতি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরের সেই ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকদের শুল্কের লভ্যাংশ থেকেই ২০০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৮১ টাকা) করে দেওয়ার কথা রবিবার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে কংগ্রেসের সম্মতি লাগবে।

সকল মার্কিন নাগরিক কি টাকা পাবেন? ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্যতিক্রম আছে। যাঁরা সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়সম্পন্ন, তাঁদের এই তালিকা থেকে বাদ রাখা হবে। অর্থাৎ, ধনী ব্যক্তিরা বাদ দিয়ে বাকি সকল মার্কিন নাগরিক ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১.৭৭ লক্ষ টাকা করে পাবেন। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুল্কনীতির বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘যাঁরা শুল্কের বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে বোকা। আমরা এখন বিশ্বের ধনীতম দেশ। সকলে আমাদের সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় নেই। স্টক মার্কেটের মূল্যও নজির গড়েছে। আমরা কোটি কোটি টাকা নিচ্ছি, শীঘ্রই তা দিয়ে বিপুল ঋণ শোধ করব।’’

মার্কিন সরকারের ঋণের পরিমাণ এই মুহূর্তে ৩৭ লক্ষ কোটি ডলার, তা-ও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘‘আমেরিকায় প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। চারদিকে বিভিন্ন কারখানা অনেক লাভ করছে। লভ্যাংশ থেকে অন্তত ২০০০ ডলার করে প্রত্যেককে দেওয়া হবে (উচ্চ আয়সম্পন্ন নাগরিক বাদে)।’’

কবে থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে, কী ভাবে বণ্টন করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সম্মতি লাগতে পারে। কয়েক মাস আগে মিসৌরির এক রিপাবলিকান সেনেটর আমেরিকানদের ৬০০ ডলার করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিল পেশ করেছিলেন। কিন্তু অগস্টে মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট জানিয়ে দেন, শুল্ক থেকে যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে আপাতত সরকারের ঋণ পরিশোধ করাই ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার।

Donald Trump US Tariff Dividend
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy