চার সপ্তাহের মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে দেখা করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে কী নিয়ে জিনপিঙের সঙ্গে আলোচনা করবেন, কেন করবেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার অন্যতম বিষয় হতে চলেছে একটি বিশেষ পণ্য— সয়াবিন।
আমেরিকা থেকে সয়াবিন কেনার জন্য চিনকে আগেও আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সয়াবিনই দুই দেশের বাণিজ্যিক দূরত্ব মেটাতে পারে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এখনও এ নিয়ে কোনও সমঝোতা হয়নি। বুধবার সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের সয়াবিন চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ চিন আমাদের থেকে সয়াবিন কিনছে না। শুল্কের মাধ্যমে আমরা অনেক অর্থ উপার্জন করেছি। এ বার সেখান থেকেই কিছুটা অর্থ নিয়ে আমরা দেশের চাষিদের পাশে দাঁড়াব। আমি কখনও আমাদের চাষিদের হতাশ করব না।’’ এর পর পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘ঘুমন্ত’ বলে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। দাবি, চিনের সঙ্গে বাইডেন অনেক চুক্তিই করেছিলেন, কেবল সয়াবিন নিয়ে কোনও সমঝোতা করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘‘প্রত্যেক চাষি দেশপ্রেমী। আমি তাঁদের ভালবাসি। আমি চার সপ্তাহের মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সঙ্গে দেখা করব, আমাদের আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে সয়াবিন।’’
গত মাসেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় এশীয়-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) সম্মেলনে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। অক্টোবরের শেষের দিকে হতে পারে সেই সাক্ষাৎ। এ ছাড়া, আগামী বছর তিনি নিজে চিনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই বাণিজ্যনীতি ঢেলে সাজিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। তা থেকে মার্কিন অর্থনীতির ভান্ডারও ভরে উঠছে বলে দাবি করেছেন। এই শুল্ক আরোপ এবং বাণিজ্য সমঝোতার পর্যায়ে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে তিক্ততা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। দুই দেশ একে অপরের উপর পাহাড়প্রমাণ শুল্ক আরোপ করে চলছিল। একসময় তারা ‘শুল্কযুদ্ধে’ বিরতির সিদ্ধান্ত নেন। ফলে আপাতত আমেরিকা এবং চিনের শুল্ক সংঘর্ষ স্তিমিত। সয়াবিন নিয়ে অক্টোবরের বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একমত হতে না পারলে জটিলতা আরও বাড়বে।