Advertisement
E-Paper

‘ভুল করল চিন, তারা আতঙ্কিত’! বেজিঙের পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে খুশি নন ট্রাম্প

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে নেমেছেন ডোনান্ড ট্রাম্প। বুধবার বিভিন্ন দেশের উপর বিভিন্ন পরিমাণ শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪১
Donald Trump slams additional 34 percentage tariff on US goods

(বাঁ দিকে) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরও ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক করেছে চিন! এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরই প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানালেন, মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে ভুল করল চিন।

ট্রাম্প বুধবার বিভিন্ন দেশের উপরেই শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় ছিল চিনও। ট্রাম্পের ঘোষণা মতো আমেরিকার বাজারে আমদানি করা চিনা পণ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি ৩৪ শতাংশ শুল্ক গুনতে হবে। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত যে ভাল ভাবে নেয়নি তা শুক্রবার বুঝিয়ে দিয়েছে বেজিং। তারাও মার্কিন পণ্যের উপর সমহারে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করে।

শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জবাবে শি জিনপিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রক চিনা পণ্যের রফতানিতেও রাশ টেনেছে। অন্তত সাতটি খনিজ উপাদানের (রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস) রফতানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিনপিং। তার মধ্যে রয়েছে গ্যাডোলিনিয়াম, ইট্ট্রিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এখানেই শেষ নয়, ১১টি আমেরিকান সংস্থাকে ‘অবিশ্বস্ত’ বলে উল্লেখ করে চিনে তাদের বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিনা কোনও সংস্থার সঙ্গেও তারা বাণিজ্য করতে পারবে না বলে জানিয়েছে জিনপিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রক।

চিনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ট্রাম্প। তিনি তাঁর সমাজমাধ্যমে বেজিঙের শুল্ক আরোপের নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চিন আতঙ্কিত, তারা ভুল করল। তারা এমন করতে পারে না।

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে নেমেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসেই তিনি ঘোষণা করেন, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত পরিমাণ শুল্ক নেয়, আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করবে! সেই মতো গত বুধবার বিভিন্ন দেশের উপর বিভিন্ন পরিমাণ শুল্ক আরোপ করে। চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপের সময়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকার পণ্যে চিন ৬৭ শতাংশ শুল্ক নেয়। আমরা ওদের কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। ওদের পণ্যে ৩৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হবে।’’ তবে বৃহস্পতিবার শুল্ক নিয়ে চিনের সঙ্গে সমঝোতার কথাও শোনা যায় ট্রাম্পের কণ্ঠে। তিনি জানান, চিন যদি টিকটক চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়, তবে শুল্ক নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারে আমেরিকা। কিন্তু বেজিং সেই প্রস্তাবে সায় না দিয়েই বাড়তি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করে।

US Tariff War Xi Jinping Tariff
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy