মার্কিন সামরিক পরিকল্পনার গোপন আলোচনা ‘ফাঁস’ হওয়ার বিতর্কের মাঝেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়ছেন মাইক ওয়াল্ট্জ়। দায়িত্ব থেকে সরছেন তাঁর সহকারী অ্যালেক্স ওয়াংও। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। বৃহস্পতিবারই (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুসারে) ওই পদে তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন। অনলাইন মাধ্যমে সামরিক বিষয়ে আলোচনার চ্যাট ‘ফাঁস’ হওয়ার কারণেই ওয়াল্ট্জ়কে এই পদ ছাড়তে হচ্ছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিতর্কের সূত্রপাত গত ২৪ মার্চ। ওই সময় অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ‘সিগন্যাল’ অ্যাপের একটি চ্যাট ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াল্টজ়-সহ আমেরিকার বিভিন্ন শীর্ষ আধিকারিকেরা একটি ‘গ্রুপ চ্যাটে’ সামরিক কিছু বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। ওই ‘গ্রুপ চ্যাটে’ এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসেন ওয়াল্ট্জ়। দাবি করা হয়, ভুলবশতই তিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামেনি। অভিযোগ, ওই গ্রুপ চ্যাটে ইয়েমেনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের উপর সামরিক হামলার পরিকল্পনা চলাকালীনই অনভিপ্রেত ওই অতিথি গ্রুপে প্রবেশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
ওই গোপন তথ্য ‘ফাঁস’ বিতর্কের পর ওয়াল্টজ় নিজেই ঘটনার কথা স্বীকার করেছিলেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, ভুলবশত ওই ঘটনাটি ঘটেছে এবং এর দায়ও সম্পূর্ণ তাঁর। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’কে গত ২৬ মার্চ তিনি বলেছিলেন, “আমি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি। ওই গ্রুপটি আমিই তৈরি করেছিলাম। পুরো বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল আমারই।” তবে গত এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে চলা এই বিতর্কে ওয়াল্টজ়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্প। বিতর্ক ছড়ানোর পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার হয়ে কথা বলেছেন। তাঁকে বিতর্ক থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছিল, “ওয়াল্টজ় ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং তিনি একজন ভাল মানুষ।”