আমাজন বাঁচাতে সম্মেলনে দক্ষিণ আমেরিকার আট রাষ্ট্রনেতা। ছবি: রয়টার্স।
বিধ্বংসী দাবানল থেকে ধারাবাহিক বৃক্ষচ্ছেদন। গত দু’দশকে ধারাবাহিক ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম চিরহরিৎ অরণ্য আমাজন। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামে পরিচিত আমাজনের বন বাঁচাতে দক্ষিণ আমেরিকার আটটি দেশের প্রতিনিধিরা দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে বুধবার প্রকাশ করেলন যৌথ ঘোষণাপত্র।
মঙ্গলবার ব্রাজিলের বেলেমে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া আমাজন অববাহিকার অংশীদার আটটি দেশ হলো—ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনেজুয়েলা। গত ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলন থেকে ‘বেলেম ঘোষণা’ নামে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়। এই ঘোষণায় আমাজন ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি জোট গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের জানিয়েছে, আমাজন শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলি যৌথ পরিবেশনীতি প্রণয়নের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। যৌথ ঘোষণাপত্রে এ বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার রূপরেখা চূড়ান্ত হয়নি বৈঠকে। প্রসঙ্গত, শীর্ষ সম্মেলনের আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ২০৩০ সালের মধ্যে আমাজনের অরণ্য ধ্বংস রুখতে একটি অভিন্ন নীতির কথা বলেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম ‘বারিস্নাত অরণ্য’ আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ পড়েছে ব্রাজিলে। লুলা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর দেশে অরণ্য ধ্বংস অনেক কমে গিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে লুলার পূর্বসূরি জইর বলসোনারোর সময় আমাজনের জঙ্গল ধ্বংসের হার প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy