Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বন্দুকবাজের হামলা, সার্বিয়ায় নিহত পাঁচ

ফের বন্দুকবাজের হামলায় সার্বিয়ায় ফিরে এল চেনা আতঙ্ক। শনিবার। রাত ঢলে প্রায় ভোর। রাজধানী শহর বেলগ্রেড থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের জিতিস্তে গ্রাম তখনও উৎসবের আনন্দে ভাসছে। পাব আর কাফেগুলো ভিড়ে ঠাসা। হঠাৎ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম।

সংবাদ সংস্থা
বেলগ্রেড শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৩
Share: Save:

ফের বন্দুকবাজের হামলায় সার্বিয়ায় ফিরে এল চেনা আতঙ্ক।

শনিবার। রাত ঢলে প্রায় ভোর। রাজধানী শহর বেলগ্রেড থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের জিতিস্তে গ্রাম তখনও উৎসবের আনন্দে ভাসছে। পাব আর কাফেগুলো ভিড়ে ঠাসা। হঠাৎ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হল গুলির বৃষ্টি। কাফের ভিতর বন্দুকবাজের হামলায় তখন রক্তাক্ত জনা পঁচিশ। নিহত পাঁচ। আহত অন্তত কুড়ি। যাঁদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পালাতে পারেনি হামলাকারী। রাতের উচ্ছ্বাস আর নীরবতা চিরে বন্দুকের আওয়াজে প্রথমে ধাঁধা লাগলেও নিরাপত্তা রক্ষীরা মুহূর্তে ঘিরে ফেলেন ঘটনাস্থল। বন্দুক সমেত ধরা পড়ে আততায়ী।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের তালিকায় রয়েছেন বন্দুকবাজের স্ত্রীও। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, এ দিন কাফেতে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাধে হামলাকারীর। এর পরেই ঝড়ের বেগে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় সে। কিছু ক্ষণের মধ্যে বন্দুক নিয়ে ফিরে এসে স্ত্রীকে লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে। এর পরেই শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি।

তবে এ দিনের ঘটনায় জঙ্গিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির অতীত অপরাধের কোনও রেকর্ডও নেই। তবে উদ্ধার হওয়া রাইফেলটির লাইসেন্স নেই। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর প্রতি আক্রোশবশত এই হামলা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বেআইনি বন্দুক নিয়েই।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নব্বইয়ের দশকে সার্বিয়ায় গৃহযুদ্ধ ও ইউরোপ জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় প্রচুর বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র চোরাই পথে দেশে ঢুকেছিল। আগামী নভেম্বরের মধ্যে সেই সমস্ত অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রশাসন। ঠিক এক দিন পর, শনিবারই এই বন্দুক হানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Serbia dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE