সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তা হলে সত্যিই কি ইমরান খানের কোনও ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়ে গিয়েছে? জেলবন্দি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এই আশঙ্কা প্রকাশকরলেন তাঁর ছেলে কাসিম খান।
আদালতের নির্দেশ থাকলেও প্রায় দু’মাস ইমরানের সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করতে পারেননি তাঁর তিন বোন বা আইনজীবীরা। ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে এক বছরেরও বেশি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক কী রকম, তা কারও পক্ষে স্পষ্ট বোঝা সম্ভব নয়। এর মধ্যেই আফগান সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইমরানকে জেলের ভিতরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে জেল কর্তৃপক্ষ ও পাক প্রশাসনের তরফে বিবৃতি জারি করে পাল্টা দাবি করা হয়, ইমরান সুস্থ আছেন এবং দু’-একদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে বোনদের দেখা করতে দেওয়া হবে।
কিন্তু তারপরেও পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ইমরানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনও যোগাযোগ হয়নি। ইমরান ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমার ছেলে কাসিম আজ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাবা নিরাপদে আছেন কি না, আদৌ বেঁচে আছেন কি না, কিছুই জানতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য খুবই মানসিক পীড়াদায়ক। আমাদের আশঙ্কা, জেলের ভিতরে তাঁর কোনও অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।”
কাসিম ও তাঁর দাদা সুলেমান ইশা খান তাঁদের মা জেমাইমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে লন্ডনে থাকেন। ২০২২-এর নভেম্বরে ‘আব্বা’ ইমরানের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল দু’ছেলের। এ বার ইমরানের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা ছড়ানোর পরে সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ২৫ বছর বয়সি কাসিম। সংবাদ সংস্থা
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)