ফাইল চিত্র।
ডোকলাম নিয়ে চিনের গলা ফের সপ্তমে। দিল্লির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে,‘‘গত বছর ডোকলাম নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’’
এমনিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে চাপানউতোর চরমে। তার উপর ডোকলাম নিয়ে চিনের মন্তব্য যে নতুন করে দিল্লির ক্ষোভ বাড়াবে, তাতে সন্দেহ নেই।
সম্প্রতি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামে হংকং-এর একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে ডোকলাম-কাণ্ডের জন্য চিনকেই দায়ী করেন সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গৌতম বামবাওয়ালে। তাঁর দাবি, ‘‘ভারত আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং চিনের সেনাবাহিনী ডোকলামের স্থিতাবস্থা পাল্টানোর চেষ্টা করায় ভারত পরিবর্তিত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছিল।’’ এতেই চিন ফুঁসে উঠেছে। সোমবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানিয়ে দেন, ‘‘ডোকলাম তাদের এলাকা। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নির্দেশ, দেশে ফেরত ৬০ রুশ কূটনীতিক
আরও পড়ুন: মেয়ের কথা ভাবছিলেন ট্রাম্প: স্টর্মি
অনেকেরই ধারণা, ডোকলাম নিয়ে চিন নতুন করে দাবি জানানোয় অশান্তির আশঙ্কা ফের প্রবল হচ্ছে। এমনিতে ডোকলাম মালভূমি ছোট্ট এক চিলতে এলাকা। ভারতের মিত্র দেশ ভুটানের দাবি, ডোকলাম তাদের। কিন্তু কৌশলগত কারণে এর অবস্থান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, চিন এই এলাকা ‘গিলে খাওয়া’র চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
গত বছরের জুন মাসে ডোকলামের মাটিতে চিন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। টানা তিন মাস মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দু’দেশের সেনা। ডোকলাম নিয়ে ভারত এবং চিন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছিল। সে যাত্রায় যুদ্ধ এড়ানো গেলেও, চিন যে ডোকলাম নিয়ে তাদের দাবি থেকে সরে আসেনি, সেটা তাদের কথা থেকেই স্পষ্ট। ভারতকে চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে, বেজিং-এর সাফ কথা,‘‘ডোকলাম ঐতিহাসিকভাবে তাদের এলাকা। ভারতের এই সত্যিটা মনে রাখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy