নিজেদের বাড়িতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একই পরিবারের চার জনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের পরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল আইওয়ায়। প্রশ্ন উঠেছিল, কে বা কারা গুলি চালিয়ে তাঁদের খুন করল। আইওয়ার ওয়েস্ট ডে ময়েন এলাকার সেই ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে আজ পুলিশ জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী চন্দ্রশেখর শঙ্কর (৪৪) গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ওই বাড়ি থেকে শনিবার সকালে চন্দ্রশেখর ছাড়াও তাঁর স্ত্রী লাবণ্য (৪১) এবং দুই ছেলে প্রভাস (১৪) ও সুহাসের (১১) গুলিবিদ্ধ দেহ মিলেছিল। স্ত্রী-ছেলেদের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অবশ্য এখনও রয়েছে।
ওয়েস্ট ডে ময়েন পুলিশের দাবি, ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে, চন্দ্রশেখর আত্মহত্যা করেছিলেন। বাকিরা খুন হয়েছেন। তবে সেই খুনি চন্দ্রশেখরই কি না, তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। বস্তুত তারা খুনির পরিচয় নিয়ে মুখ খুলতেই চায়নি। এই খুন নিয়ে ওই এলাকার ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই আতঙ্কে। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে, সাধারণ জনতার ভয়ের কোনও কারণ নেই।
এই খুনের সূত্রে পুলিশ এখন চন্দ্রশেখরের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। সব রকম প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডালাসের কাউন্টি শেরিফ চ্যাড লিওনার্ড জানিয়েছেন, চন্দ্রশেখর গত এপ্রিল মাসে সব প্রক্রিয়া মেনে অস্ত্র রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন। তার পরে চন্দ্রশেখর অন্তত একটি অস্ত্র কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ওয়েস্ট ডে ময়েন পুলিশ সূত্রে। সেটি কী ধরনের অস্ত্র এবং কোথা থেকে কেনা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আইওয়ার জননিরাপত্তা দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হিসেবে গত ১১ বছর ধরে কাজ করছিলেন চন্দ্রশেখর। সেই দফতর সূত্রে তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানানো হয়েছে। যে সব প্রতিবেশী ১১ বছর ধরে চেনেন চন্দ্রশেখরদের, তাঁদের অনেকেই এই ঘটনায় স্তম্ভিত। সুন্দর একটি পরিবার কেন এ ভাবে শেষ হয়ে গেল, বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এক প্রতিবেশী বলেছেন, ‘‘কেন এ রকম ঘটনা ঘটল, সেটা আদৌ আমরা কোনও দিন জানতে পারব কি না, সন্দেহ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy