গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে ‘রিম্যাচ’। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোট নিয়ে এমনই পূর্বাভাস বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। এই পরিস্থিতিতে প্রথা মেনে আগামী ২৭ জুন আটলান্টায় প্রথম বার মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে চলেছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী— বর্তমান প্রেসিডেন্ট, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আটলান্টার ওই ৯০ মিনিটের বিতর্ক সভায় কোনও শ্রোতা উপস্থিত থাকবেন না। যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বক্তৃতায় ক্ষেত্রেও ‘কড়া সময়সীমা’ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। লিবার্টারিয়ান পার্টির নেতা তথা চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এই বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, মে মাসে লিবার্টারিয়ান পার্টির সম্মেলনের মঞ্চে ‘আমন্ত্রিত’ হিসাবে হাজির ছিলেন ট্রাম্প এবং বাইডেন। কিন্তু এ বারের নির্বাচনে এই প্রথম বার মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে চলেছেন তাঁরা।
আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই ধীরে ধীরে প্রচারের অভিঘাত বাড়াচ্ছেন। জনমত সমীক্ষাগুলির ইঙ্গিত, বাইডেনের তুলনায় সামান্য এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে আটলান্টায় সিএনএন আয়োজিত বিতর্কসভায় বাইডেন তাঁর বক্তৃতায় ট্রাম্পের জমানার ‘ব্যর্থ কোভিড-নীতি’, আর্থিক ঘাটতি, ‘স্বৈরতন্ত্র’ ‘মিথ্যাচার’ এবং ক্যাপিটল হিংসার মতো প্রসঙ্গ তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে বাইডেনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারের প্রধান অস্ত্র হতে পারে ‘জাতীয় নিরাপত্তায় অবহেলা’, ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা’ এবং ‘আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের স্বার্থরক্ষায় অনীহা’।
প্রসঙ্গত, ৬৮ বছর আগে, ১৯৫৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অ্যাডলাই স্টিভেনসনকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছিলেন রিপাবলিকান নেতা ডুইট ডি আইজ়েনহাওয়ার। সেটা ছিল আমেরিকান রাজনীতির ইতিহাসে শেষ ‘রিম্যাচ’ নির্বাচন। অর্থাৎ তার আগের বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টিভেনসন এবং আইজ়েনহাওয়ার। সেটা ছিল ১৯৫২ সালের নির্বাচন। পরিসংখ্যান বলছে, ’৫২-তে জেতার পরে ’৫৬-তে আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে স্টিভেনসনকে হারিয়েছিলেন আইজ়েনহাওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy