প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
এই গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ-ও বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাইডেনের আমন্ত্রণ গ্রহণকরেছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের দাবি, দুই দেশের সরকারি কর্তারা এখন সফরের সম্ভাব্য তারিখ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা শুরু করেছেন। জুন কিংবা জুলাই মাসে মোদীর অন্তত দু’দিন ফাঁকা পাওয়া যায় কি না, দেখা হচ্ছে। ওই সময়ে আমেরিকার সেনেট ও হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের অধিবেশন চলবে। কোনওঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক কর্মসূচি না থাকলে মোদী ওই সময়ে আমেরিকা গেলে এক দিন তিনি আমেরিকান কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে পারেন। আর এক দিন নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন হোয়াইট হাউসে। সে ক্ষেত্রে বাইডেনের শাসনকালে এটি হবে মোদীর দ্বিতীয় বার আমেরিকা সফর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এখন আমেরিকাতেই গিয়েছেন মোদীর ‘কাছের লোক’ বলে পরিচিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। গত কাল ওয়াশিংটনে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেই বৈঠকে সালিভান বলেই দিয়েছেন, ‘‘ভারত, আমেরিকা ও বিশ্বের সামনে চিন এক বড়সড় চ্যালেঞ্জ।’’ গত বছর টোকিয়োয় কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনেরফাঁকে মোদী ও বাইডেনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, অত্যাবশ্যক ও নতুন নানা প্রাযুক্তিক ক্ষেত্রে সমন্বয় রেখে চলবে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস টুইটারে জানিয়েছে, ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস’ (আইসিইটি) নামে এই এই যৌথ উদ্যোগে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়ে দু’দেশের প্রাযুক্তিক সমন্বয় ঘটবে। ডোভাল এবং সালিভান তারই আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও পর্যালোচনা করা হয়েছে বৈঠকে।
জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি এখন ভারত। সেপ্টেম্বরে তার শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বাইডেনেরও ভারতে আসার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy