দীর্ঘ বৈঠকের পরেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারল না কাবুল ও ইসলামাবাদ। কাতারের রাজধানী দোহাতে বৈঠক চলেছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের। শনিবারের পরেও চলতে পারে শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক।
শনিবারের বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মৌলবি মহম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ ও খোয়াজা আসিফ। বৈঠক শুরুর আগে আফগানিস্তানের প্রতি পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বার্তা ছিল, ‘‘শান্তি ও অশান্তির মধ্যে থেকে একটিকে বাছতে হবে।’’ তালিবান সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল, আফগানিস্তান ‘জবাব’ দিতে জানে। অসামরিক এলাকায় হামলা চালানোর জন্য নিন্দাও জানানো হয়েছিল। শান্তির লক্ষ্যে তার পরে শুরু হয়েছিল বৈঠক। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মিলেছে বলে জানা যায়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সমাধানসূত্র না বার হলে শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। সেখানে যোগ দিতে পারেন দুই দেশেরই গোয়েন্দা কর্তারা।
আরও পড়ুন:
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ চলছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি থাকলেও শুক্রবার সীমান্তে আকাশপথে পাকিস্তান হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই দেশের পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলায় এই হামলার ঘটনায় তিন আফগান ক্রিকেটার ও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত পক্ষে সাত জন। এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। প্রয়াত ক্রিকেটার কবীর, শিবঘাতুল্লা ও হারুনকে শহিদের সম্মানও জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হতে চলা ত্রিদেশীয় টি-২০ ক্রিকেট সিরিজ় থেকে নিজেদের দলের নাম প্রত্যাহার করেছে আফগানিস্তান। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্ষতি আফগানিস্তান তথা বিশ্ব ক্রিকেটের।’’ শোকপ্রকাশ করা হয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-র তরফেও।