Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Tiger

Tiger: মধু সংগ্রাহক থেকে চোরাশিকারি! ৭০টি বাঘ হত্যাকারী ‘টাইগার হাবিব’ গ্রেফতার বাংলাদেশে

বাংলাদেশের বন দফতরের এক আধিকারিক মইনুদ্দিন খান জানিয়েছেন, টাগার হাবিব ধরা পড়ায় স্বস্তি পাওয়া গেল।”

টাইগার হাবিব। ছবি সৌজন্য টুইটার।

টাইগার হাবিব। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ১৯:৫৭
Share: Save:

বাঘ হত্যা এবং চোরাশিকারের জন্য তাঁকে ২০ বছর ধরে খুঁজছিল বাংলাদেশ পুলিশ। অবশেষে ধরা পড়ল কুখ্যাত সেই চোরাশিকারি ‘টাইগার হাবিব’।

আসল নাম হাবিব তালুকদার। কিন্তু ‘টাইগার হাবিব’ নামেই বেশি পরিচিত চোরাশিকারিদের মধ্যে। হাবিবের বিচরণ ছিল মূলত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত সুন্দরবন এলাকায়। জঙ্গলের কাছাকাছিই থাকত হাবিব। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই গা ঢাকা দিত।

বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ বছরে হাবিব ৭০টি বাঘ হত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু বাঘ হত্যাই নয়, সেগুলোর চামড়া, নখ এমনকি মাংস চিনের বাজারে চড়া দামে পাচার করত।

সাদামাটা জীবনযাপন ছিল হাবিবের। জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে দিনযাপন করত। ধীরে ধীরে মধু সংগ্রাহক থেকে হাবিব তালুকদার হয়ে ওঠে বাঘ হত্যাকারী। স্থানীয়দের মধ্যে পরিচিতি পেল ‘টাইগার হাবিব’ নামে। ক্রমে একের পর এক বাঘ হত্যা, চোরাচালান হয়ে উঠল তার জীবনযাপনের রাস্তা। আবদুস সালাম নামে স্থানীয় এক মধু সংগ্রাহক বলেন, “হাবিব ভয়ঙ্কর এক মানুষ। আমরা যেমন ওকে ভয় পেতাম, তেমনই ওকে সম্মান করতাম। জঙ্গলের মধ্যে বাঘের সঙ্গে একাই লড়াই করত হাবিব।”

বাংলাদেশ বনদফতর জানিয়েছে, বাঘের সংখ্যা ক্রমেই কমছিল। ২০০৪-এ যেখানে ৪৪০টি বাঘ ছিল, সেখানে ২০১৫-য় সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৬-এ। ২০১৯-এ সামান্য বেড়ে ১১৪ হয়। কারণ ওই এলাকায় চোরাশিকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বন দফতরের তৎপরতায়।

বন দফতরের এক আধিকারিক মইনুদ্দিন খান জানিয়েছেন, টাইগার হাবিব ধরা পড়ায় স্বস্তি পাওয়া গেল। তাঁর কথায়, “হাবিব একটা মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। সুন্দরবনের ভারসাম্য ওর কারণেই নষ্ট হতে বসেছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh arrest Tiger Poacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE