Advertisement
১১ মে ২০২৪
Narendra Modi

সিএএ-বার্তা দিতে ব্রাসেলস চলোর ডাক

ইইউ পার্লামেন্টে ভারতের শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে মোদীর ব্রাসেলস সফর নির্ধারিত ১৩ এবং ১৪ মার্চ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।

ঋজু বসু
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৭
Share: Save:

কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময়ে তাঁর চলার পথে কালো পতাকাধারী প্রতিবাদীদের দূরে হটিয়ে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি পুলিশ। তবে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টের একেবারে সামনে মোদীর আসন্ন সফরের দিনে প্রতিবাদের ছক কষছেন ইউরোপবাসী এক ঝাঁক প্রতিবাদী ভারতীয়। এর আগে জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনে এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সফরের সময়ে ব্রাসেলসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা।

ইইউ পার্লামেন্টে ভারতের শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে মোদীর ব্রাসেলস সফর নির্ধারিত ১৩ এবং ১৪ মার্চ। ইতিমধ্যে দু’দিনই প্রতিবাদের পুলিশি ছাড়পত্র হাতে এসে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপ মারফত ‘ব্রাসেলস চলো’র ডাক পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিবাদের সংগঠকেরা। এর আগে জেনিভায়, ব্রাসেলসে কিংবা মিউনিখে (নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীর সফরের সময়) জার্মানির বিভিন্ন শহর, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, সুইটজ়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ইটালি, পোল্যান্ডের মতো নানা দেশ থেকে প্রতিবাদীরা জড়ো হয়েছিলেন। এ বার ‘ব্রাসেলস চলো’ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘লেট মোদী হিয়ার আওয়ার ভযেসেস’ (মোদী আমাদের আওয়াজ শুনুন)।

আগের বার জেনিভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-পড়ুয়ারা পর্যন্ত অনেক দূর থেকে বিস্তর টাকা খরচ করে জড়ো হযেছিলেন। ফ্রাঙ্কফুর্টে ভারতীয় কনস্যুলেটের ফেসবুক পেজে প্রতিবাদীদের ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিয়ে সমস্যায় ফেলার নানা চেষ্টাতেও তাঁরা পিছু হটেননি। মোদীর সফরের সময়েও অন্য বারের মতো শদুয়েক প্রতিবাদীর ভিড় হতে পারে বলে আশা করছেন উদ্যোগটির আহ্বায়কেরা। তাঁদেরই অন্যতম, জার্মানির কোলন শহরে কর্মরত এক বাঙালি তরুণী বলছেন, “ইইউ পার্লামেন্টের যেখানে প্রতিবাদস্থল, ভিতরে ঢোকার সময়ে সেখানটা চোখে না-পড়ে উপায় নেই।’’ তবে বিকেলে নির্দিষ্ট একটি সময়ে দুঘণ্টার জন্য প্রতিবাদের অনুমতি মিলেছে। ওই সময়ই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সারার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওই সময়ের মধ্যে প্রতিবাদটি চাক্ষুষ করুন বা না-করুন এ প্রতিবাদের বার্তা ইইউ পার্লামেন্টে সব স্তরে ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রতিবাদীরা আশাবাদী।

এর আগে ইউরোপের ঠান্ডা, ঝড় বৃষ্টিতে আজাদির স্লোগান, সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ থেকে রবীন্দ্রনাথ বা ফৈজ আহমেদ ফৈজের কবিতা সমস্বরে উচ্চারণে ভারতে আইন করে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের প্রতিবাদ করা হয়েছিল। এ বারও পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক মনস্তত্ত্বের এক শিক্ষিকা, নেদারল্যান্ডসে আইনের অধ্যাপিকা, জেনেভার গবেষক-ছাত্রীর মতো নানা পেশা ও সামাজিক অবস্থানের জনতা ব্রাসেলস সফরের তোড়জোড় করছে। বাংলা, দিল্লি ও লাগোয়া এলাকা বা মুম্বইবাসী কিংবা তামিল-মালয়ালমভাষী অনেকেই সে-দিন জড়ো হচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE