পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের তরফে সুর নরমের বার্তা ছিল নানা স্তরে। আজ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবস। সেই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী লিখেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায়। সে জন্য সন্ত্রাস ও বিরোধিতামুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।’’ সম্প্রতি ইমরান কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন মোদী। পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে এই বার্তা প্রতি বছরেই পাঠানো হয়।
গত কাল একটি রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয় কূটনৈতিক শিবিরে। সেখানে বলা হয়, ভারত-পাক শান্তির নকশা তৈরি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যস্থতায়। পাশাপাশি সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার নরম স্বর এবং আলোচনার আহ্বান। এই দুটি বিষয় মিলে দু’দেশের আলোচনার টেবিলে বসার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অথচ সম্প্রতি রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মুরলীধরণ জানিয়েছেন, ‘‘আলোচনার জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরির দায় পাকিস্তানের। আর এই সহায়ক পরিস্থিতি তখনই করা সম্ভব, যখন পাকিস্তান তাদের মাটি থেকে ভারতের বিরদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধের জন্য স্থায়ী, বিশ্বাসযোগ্য, পাকাপাকি পদক্ষেপ করবে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক রাখতে চায়। বকেয়া বিষয়গুলি নিয়ে কথাও বলতে চায় দ্বিপাক্ষিক স্তরে শান্তিপূর্ণ, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাজওয়া যে দিন বিবৃতি দিয়ে বলেন যে ‘‘এখন সময় এসেছে অতীতকে কবর দিয়ে সামনে দিকে তাকানোর,’’ সে দিনই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এই বিবৃতিটি দিয়েছিলেন। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে একাধিক বার একতরফা ভাবে শান্তি আলোচনার জন্য উদ্যোগী হয়। কিন্তু তাতে মারাত্মক হাত পোড়াতে হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এই বার্তা প্রতি বার পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে পাঠানো হয়। পুলওয়ামা হামলার পরেও তা পাঠানো হয়েছিল। তবে সন্ত্রাসে মদত না থামলে যে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই তার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতেও আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy