দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় এবং উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। ছবি: এপি।
আলোচনায় বসার জন্য পিয়ংইয়ঙে শান্তি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সোল। অবশেষে সেই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিল কিমের দেশ। আগামী ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার পানমুনজোম গ্রামে পিস হাউজে দু’দেশের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন।
বিবদমান দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শেষ বার কথা হয়েছিল বছর দু’য়েক আগে। গত ২ বছর ধরে এই দু’দেশের মধ্যে কূটনেতিক পর্যায়ে আলোচনার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে সেই প্রচেষ্টা সফল হতে চলেছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রকের মুখপাত্র বায়েক তায়।
বায়েক আরও জানান, দু’দেশই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তাদের মধ্যে বিনিময় করার জন্য রাজি হয়েছে। পাশাপাশি, দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
আরও পড়ুন: আমার বোতাম বেশি বড়: ট্রাম্প
ব্যাননের নামে মানহানির চিঠি প্রেসিডেন্টের
আগামী ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাঙে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসতে চলেছে। উত্তর কোরিয়া থেকে কয়েক জন প্রতিযোগী অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে সেই সূত্র ধরেই কি আলোচনার রাস্তায় হাঁটছে চাইছেন কিম? বছরের শুরুতেই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে অলিম্পিকে তাঁর দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ নিয়ে নরম সুরই শোনা গিয়েছিল কিমের গলায়। পাশাপাশি, এটাও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এ বার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন তাঁরা।
হঠাত্ করে কিমের এমন ইঙ্গিতে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলে। তা হলে কি এ বার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে চলেছে? অবশেষে সেই জল্পনায় ইতি পড়ল। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার আলোচনায় রাজি হওয়া এবং অলিম্পিকে অংশ নেওয়া দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির একটা লক্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy