Advertisement
E-Paper

করোনায় মৃত্যু ২০ লক্ষ ছাড়াল

এক দিকে যেমন ভাইরাস বধের জন্য প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে, অন্য দিকে ভাইরাসও ভোল বদলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৯
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের আক্ষেপ, ‘‘রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। প্রতিষেধক নিয়ে জাতীয়তাবাদ চলছে। তাতেই অতিমারি আরও ভয়ানক চেহারা নিচ্ছে।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জ গোড়া থেকেই বলে আসছে, গোটা পৃথিবীকে একসঙ্গে সুস্থ হতে হবে। এ ‘যুদ্ধে’ কোনও দেশের পিছিয়ে পড়া মানেই, ভাইরাসকে পৃথিবীতে জায়গা করে দেওয়া। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে যাওয়া জরুরি। কিন্তু এক দিকে যেমন ভাইরাস বধের জন্য প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে, অন্য দিকে ভাইরাসও ভোল বদলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তার একাধিক মিউটেশনে সন্ত্রস্ত বিশ্ব।

মিউটেশনের জেরে সব খারাপ দশায় ব্রিটেন। ভয়াল পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না তারা। একে তো সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তার উপরে মিউটেশন ঘটিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দু’-দু’টি অতিসংক্রামক স্ট্রেন। ইউরোপের অন্য দেশগুলো আঙুল তুলে বলছে ‘বুড়ো দেশ’। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর চারটে থেকে দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গত এক-দু’মাসে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক বাসা বেঁধেছে ব্রিটেন-স্ট্রেন নিয়ে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, স্ট্রেনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর জেরে ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল বহু দেশ। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যায়নি। অন্তত ৫০টি দেশে ধরা পড়েছে ব্রিটেন-স্ট্রেন। এর মধ্যেই নয়া আতঙ্ক ব্রাজিল-স্ট্রেন। এটিও অতিরিক্ত সংক্রামক। সেই সঙ্গে অ্যান্টিবডির ক্ষমতা নাশ করে পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এই স্ট্রেনটি। গত কাল ব্রিটেনে ধরা পড়েছে এই ব্রাজিল স্ট্রেনও। দীর্ঘদিন ধরে অনির্দিষ্ট কালব্যাপী লকডাউন চলছে ব্রিটেনে। অতিপ্রয়োজনীয় নয়, এমন সমস্ত দোকান বন্ধ। বন্ধ জিম, কাফে, রেস্তরাঁ। বাড়ি থেকে কাজ করছেন বেশির ভাগ বাসিন্দাই। স্কুলও চলছে অনলাইনে। বরিস জনসন বলেন, ‘‘একমাত্র করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে থাকলেই কাউকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে। সেই টেস্টও করাতে হবে দেশের ঢোকার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। ব্রিটেনমুখী বিমানে ওঠার আগেই ওই নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে উড়ান সংস্থাকে।’’ নিয়মের খেলাপ করলে জরিমানা করা হবে।

আমেরিকার অবস্থাও ভয়াবহ। ২ কোটি ৪১ লক্ষ সংক্রমণ। মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়াল। অর্থাৎ বিশ্বের মোট মৃত্যুর পাঁচ ভাগের এক ভাগই আমেরিকার। নয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ তাঁর ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম’-এর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদুর শর্মাকে। স্বাস্থ্যনীতি বিশারদ বিদুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গেও কাজ করেছেন। কোভিড রেসপন্স টিম গঠনের পাশাপাশি ১০০ দিনের লক্ষ্যমাত্রাও নিয়েছেন বাইডেন। তিনি জানান, তাঁর জমানার প্রথম একশো দিনে ১০ কোটি আমেরিকানকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

ও দিকে, নরওয়েতে ফাইজ়ারের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স হয়েছিল, নয়তো মারণ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন ১৩ জন। নরওয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্‌থ’-এর বক্তব্য, ভ্যাকসিনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

Coronavirus COVID-19 WHO Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy