Advertisement
E-Paper

মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে অভ্যর্থনাও পেলেন না ইমরান!

দেশের অর্থব্যবস্থাকে দাঁড় করাতে আইএমএফ-এর কাছে মোটা টাকার সহায়তা চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে ইতিমধ্যেই তাতে বাদ সেধেছেন মার্কিন কংগ্রেসের কিছু প্রভাবশালী নেতা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ১৬:১৪
ওয়াশিংটনে ইমরান খান। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

ওয়াশিংটনে ইমরান খান। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

মার্কিন সফরে গিয়ে ন্যূনতম সম্মানটুকুও পেলেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনদিনের বিদেশ সফরে শনিবার মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন ইমরান। কিন্তু বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে যাননি মার্কিন সরকারের কোনও আধিকারিক। এর আগে আর কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়নি বলে দাবি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের।

ক্ষমতায় আসার পর থেকে সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ পাকিস্তানকে একাধিক বার তুলোধনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে, কাটছাঁট করা হয়েছে অনুদানের টাকায়। এই তিক্ততা কাটিয়ে উঠতেই তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইমরান। খরচ বাঁচাতে হোটেলে উঠবেন না, বরং পাক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের বাড়িতে থাকবেন বলে আগেই স্থির করে নিয়েছিলেন তিনি। নেননি চার্টার্ড বিমানও। বরং কাতার এয়ারওয়েজের সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে চড়েই আমেরিকা পৌঁছন।

কিন্তু সেখানে তাঁকে অভিবাদন জানানোর জন্য হাজির ছিলেন না মার্কিন সরকারের কোনও প্রতিনিধি। অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা আমেরিকায় পা রাখলেই তাঁদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। ইমরানের আশপাশে সে সবের কিছুই চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে নালিশ করে বিপাকে প্রিয়া​

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে টুইটারে যে ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ইমরানকে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং সেখানে পাক দূতাবাসের কর্মরত কিছু আধিকারিককে। এর পর এনএসএ বা পাক দূতাবাসের গাড়ি নয়, বরং রীতিমতো টিকিট কেটে মেট্রোয় চেপে গন্তব্যে পৌঁছন তিনি।

এর আগে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার পর এই প্রথম কোনও পাক প্রধানমন্ত্রী সে দেশে পা রাখলেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানে দেশের মাটিতে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে জায়গা করে দেওয়া নিয়ে তাঁর উপর চাপ বাড়তে পারে বলে জল্পনা। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দেওয়া হতে পারে তাঁকে।

আরও পড়ুন: দর্শককে হাসাতে গিয়ে মঞ্চেই মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৌতুকাভিনেতার​

ওয়াশিংটনে থাকাকালীন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেভিড লিপ্টন এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ইমরান। দেশের অর্থব্যবস্থাকে দাঁড় করাতে আইএমএফ-এর কাছে মোটা টাকার সহায়তা চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে ইতিমধ্যেই তাতে বাদ সেধেছেন মার্কিন কংগ্রেসের কিছু প্রভাবশালী নেতা। ওই টাকায় চিনের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

Imran Khan Pakistan US Donald Trump Washington NSA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy