প্রতীকী ছবি।
ফাইজারের তৈরি করোনা চিকিৎসার ট্যাবলেট এ বার আমেরিকার পাশাপাশি অন্য দেশেও উৎপাদন করা হবে। মঙ্গলবার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটির তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে ফাইজার কর্তৃপক্ষের দাবি।
ইতিমধ্যেই ফাইজার কর্তৃপক্ষ তাঁদের তৈরি ‘অ্যান্টিভাইরাল কোভিড ট্য়াবলেট প্যাক্সলোভিড ৯৫টি কম আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশে তৈরির অনুমতি দিয়েছে। ওই দেশগুলিতে কম দামে প্যাক্সলোভিড বিক্রির করার কথাও জানিয়েছে আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতিকারী সংস্থাটি। তাদের দাবি, এর ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৫৩ শতাংশ উপকৃত হবেন।
যে সমস্ত কোভিড-১৯ রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৮৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিড। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকটাই। আমেরিকার ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থাটির এই দাবিতে স্বীকৃতি দিয়েছে সে দেশের একাধিক গবেষণা।
গত সপ্তাহে ফাইজার জানিয়েছিল, মোট ১,২১৯ জন রোগীর উপর পরীক্ষা একটি চালানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে কিছু রোগীকে প্যাক্সলোভিড আর কিছু রোগীকে প্লেসিবো দেওয়া হয়েছিল। কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়ার তিন দিন পর থেকে যাঁদের প্যাক্সলোভিড দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে মাত্র ০.৮ শতাংশ ব্যক্তিকে পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ২৮ দিন ধরে চলা চিকিৎসায় কেউ মারা যাননি। আর যাঁদের প্লেসিবো দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাত শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।
ফাইজারের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য শীঘ্রই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পাঠাবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy