ইউক্রেনের হামলায় ধ্বংস রুশ ট্য়াঙ্ক। ফাইল চিত্র।
সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ‘জ্যাক ইন দ্য বক্স এফেক্ট’। অর্থাৎ, ক্ষেপণাস্ত্র বা কামানের গোলার আঘাতে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া গাড়ির বহরে মজুত অস্ত্রসম্ভারে বিস্ফোরণ ঘটে আক্ষরিক অর্থে ‘উড়িয়ে যাওয়া’। গত সাত মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েকটি বেশ ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এমনই দৃশ্য। ইউক্রেন ফৌজের ‘সৌজন্যে’ ফের দেখা গেল শনিবার।
ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংসের ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছে শনিবার। ইউক্রেন সেনার টুইটার হ্যান্ডলে তা প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ন’টি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। ধ্বংস হওয়া শত্রুর ট্যাঙ্কের মোট সংখ্যা শীঘ্রই ২,০০০ ছোঁবে।’ শুক্রবার ইউক্রেন সেনার তরফে চেরনিহিভের যুদ্ধে একটি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস হওয়ার ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছিল।
In this battle Ukrainian airborne forces destroyed nine russian tanks.
— Defence of Ukraine (@DefenceU) July 8, 2022
Total number of the enemy’s tanks destroyed will soon reach 2,000.
Footage by the Command of the Ukrainian Air Assault Forces. pic.twitter.com/PFVHJwoMcr
ট্যাঙ্কের পাশাপাশি রুশ সেনার ‘আর্মাড ডিভিশনগুলির’ হাজারের বেশি সাঁজোয়া গাড়িও (ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল্) ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছে কিভ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুশ টি-৭২ বা টি-৯০ ট্যাঙ্কে বসানো ১২৫ মিলিমিটারের ‘স্মুদবোর’ কামানের জন্য মজুত রাখা হয় কমবেশি ৪০টি গোলা। ইউক্রেন সেনার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেই গোলার স্তূপে বিস্ফোরণ ঘটছে প্রায়শই। আর তার অভিঘাতে কার্যত শূন্যে উঠে যাচ্ছে ট্যাঙ্ক।
বিমান হামলার পাশাপাশি আমেরিকার তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র (এটিজিএম) জ্যাভেলিন এবং ব্রিটেনের ‘ট্যাঙ্ক-ব্রাস্টার্স’ (পোশাকি নাম, ‘নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন’ বা এনএলএডব্লিউ) রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংসে ইউক্রেন সেনার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy