সলমন রুশদি ও হাদি মাটার
ইরানের ফতোয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদিকে ব্যক্তিগত ভাবে অপছন্দ করতেন বলেই তিনি খুন করতে চেয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন রুশদিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত হাদি মাটার।
গত ১৩ অগস্ট নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শুটোকোয়া ইন্সটিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় ছুরি নিয়ে রুশদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মাটার। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই ঘটনার পরেই মাটারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার জন্য ইরানের প্রয়াত ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি রুশদির বিরুদ্ধে যে ফতোয়া জারি করেছিলেন, সেই নির্দেশ মেনে লেখককে খুনের চেষ্টা করা হয়।
মাটার সত্যিই আয়াতোল্লার নির্দেশকে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন কি না, সাক্ষাৎকারে তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি আয়াতোল্লাকে সম্মান করতাম। আমার মনে হয়, উনি ভাল লোক। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’’ সত্যিই আয়াতোল্লার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন কি না, সে সম্পর্কে কিছুই বলতে চাননি মাটার।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বইটার এক-দু’পাতা পড়েছি বড়জোর। আমার ভাল লাগেনি। আমি লোকটাকেই পছন্দ করি না। ভাল মানুষ নন। ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বাসকে আক্রমণ করেছেন উনি। ওঁর মতো মানুষকে আমি পছন্দ করি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy