উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের পর আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানেও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত অনেকে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় নিরাপত্তাকর্মী এবং পুলিশ। সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সরকারি আধিকারিক হামজা শাফায়াত জানান, মঙ্গলবার বালোচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরদার আতাউল্লাহ মেঙ্গলের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। সেই উপলক্ষে কোয়েটায় একটি স্মরণসভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি-র অনেক সদস্য। সমাবেশের শেষে অনেকেই বেরিয়ে আসেন। সে সময়ে কাছের পার্কিং লটে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কম করে ১৮ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের এক আধিকারিক আতহার রশিদ বলেন, “বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
আরও পড়ুন:
এ দিন উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি সেনাঘাঁটিতেও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ছ’জন নিরাপত্তা কর্মী ও ছ’জন জঙ্গি-সহ মোট ১২ নিহত হন। পুলিশ আধিকারিক সাজ্জাদ খান বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের বান্নুতে একটি সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায়। বোমা বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি সেনাঘাঁটির সীমানার কাছে নিয়ে যায় ওই আত্মঘাতী। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই দেওয়াল। সেই সুযোগে সেখানে প্রবেশ করে দলের বাকি জঙ্গিরা।” সাজ্জাদ আরও জানান, হামলাকারী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে টানা ১২ ঘণ্টা ধরে গুলি চলে।