Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানে সিন্ধের আইজি-কে অপহরণ সেনার! গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করাচিতে

ঘটনার প্রতিবাদে গণছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আইজি মুস্তাক মেহর-সহ সিন্ধের পদস্থ পুলিশকর্তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১৮
জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরে মহম্মদ সফদর। ছবি: পিটিআই

জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরে মহম্মদ সফদর। ছবি: পিটিআই

সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ প্রধান ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)-কে কি অপহরণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফের জামাই মহম্মদ সফদরকে গ্রেফতারের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জল্পনা চরমে উঠেছে। এমনকি সেনা ও পুলিশের মধ্যে গুলিযুদ্ধের খবরও প্রকাশিত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। যদিও পাক প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেনা প্রধান কামার বাজওয়া। ঘটনার প্রতিবাদে গণছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আইজি মুস্তাক মেহর-সহ সিন্ধের পদস্থ পুলিশকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সিন্ধ প্রদেশে সম্প্রতি একটি মিছিল করে বিরোধীরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন শরিফের জামাই সফদর। সেখানে কার্যত সেনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগে ওই মিছিলের পরেই সফদরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই অবশ্য আদালতে জামিনও পেয়ে যান সফদর। পুলিশ সূত্রে খবর, সফদরকে গ্রেফতার করতে রাজি ছিল না সিন্ধ পুলিশ। কিন্তু পাক রেঞ্জার্স তাঁকে গ্রেফতারের জন্য আইজির উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গ্রেফতারির নির্দেশে সই করার জন্য তাঁর উপর নানা ভাবে চাপ তৈরি করা হয়। তার পরেও মেহর রাজি না হওয়ায় তাঁকে অপহরণ করে পাক রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ রাজি না হওয়ায় সফদরকেও পাক রেঞ্জার্সই গ্রেফতার করে বলে পুলিশের একটি সূত্রে দাবি।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, সিন্ধের ঘটনার জেরে করাচিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেনার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তাতে করাচিতে ১০ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। যদিও এ নিয়ে পাক সংবাদ মাধ্যমে এই ধরনের কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি। মুখ খোলেননি প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউ। আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যমও অসমর্থিত সূত্রে খবর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন: করাচিতে আবার বিস্ফোরণ, মৃত ৩, আহত ১৬, অশান্ত হচ্ছে পাকিস্তান

একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মেহর বলেছেন, তিনি নিজে এবং পদস্থ পুলিশকর্তারা গণছুটিতে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই সেনা প্রধান কামার বাজওয়া ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত ১০ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি অফিসারদের। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে তদন্তের জন্য এই সময় দিতে চাই।’’ তবে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে পাক রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।

আরও পড়ুন: প্রোটোকল মেনেই আটক সেনাকে চিনের হাতে তুলে দিল ভারত

সিন্ধ পুলিশের তরফে বেশ কয়েকটি টুইটে এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলা হয়েছে। সমস্ত স্তরের পুলিশকর্মী-অফিসারদের মধ্যে অসম্মানের পরিবেশ তৈরি হয়েছে জানিয়েও সেনাপ্রধানের তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে সিন্ধ পুলিশ। অপহরণের মতো ঘটনা যে ঘটেছিল, সিন্ধ পুলিশের পর পর ওই টুইটেই কার্যত স্পষ্ট।

Pakistan Sindh Karachi Pakistan Army Civil War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy