রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনে সক্রিয় হয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রকাশ্যে চলে এল মতবিরোধ! ‘সৌজন্যে’, প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব।
জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ (যা ‘জামাত’ নামে পরিচিতি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি-সহ কয়েকটি দল ইউনূস সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের পেশ করা এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেও তীব্র বিরোধিতা করেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিও সায় দেয়নি এমন উদ্যোগে।
আরও পড়ুন:
রবিবার শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি-সহ মোট তিনটি দল প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির পদের নির্দিষ্ট মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আমাদের প্রশ্ন, কোনও রাজনৈতিক দল যদি পর পর তিন বার জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তা হলে কেন তারা নিজেদের পছন্দের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বেছে নিতে পারবে না?’’ অন্য দিকে, গত বছর শেখ হাসিনার তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের একাংশের গড়া দল বাহাত্তরের ‘মুজিববাদী সংবিধানে’র চার মূলনীতি বাতিল দাবি তুলেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে।