Advertisement
E-Paper

পার্লামেন্টকেই সাময়িক বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট, শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক সঙ্কট

পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন কলম্বোয় উপস্থিত ইউরোপীয় কূটনীতিকরাও।  তাঁরা শ্রীলঙ্কা সরকারকে সংবিধান ও রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোনও ভাবে খর্ব না করা হয়, তাই নিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৫৫
শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের সামনে সেনা টহলদারি। ছবি: এএফপি।

শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের সামনে সেনা টহলদারি। ছবি: এএফপি।

পার্লামেন্টকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের সমস্ত বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। এর আগে শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে বরখাস্ত করেছিলেন মৈত্রীপালা। প্রেসিডেন্টের একের পর এক সিদ্ধান্তে কার্যত সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা।

সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে বরখাস্ত করার পরই তিনি পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন বসানোর দাবি জানিয়েছিলেন, যাতে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেন। এ ছাড়া আগামী ৫ নভেম্বর পূর্বনির্ধারিত বাজেট অধিবেশন বসার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে। এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কায় চলতে থাকা অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

একটি বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সূর্য সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন কলম্বোয় উপস্থিত ইউরোপীয় কূটনীতিকরাও। তাঁরা শ্রীলঙ্কা সরকারকে সংবিধান ও রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোনও ভাবে খর্ব না করা হয়, তাই নিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ঋণের ফাঁদে ইসলামাবাদ, বন্ধুত্বের মুখোশে পাকিস্তানে লুঠ চালাচ্ছে চিন?

শুক্রবার রাতে রনিল বিক্রমসিংঘেকে বরখাস্ত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজাপক্ষেকে বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। কিন্তু সেই নিয়োগকে অসাংবিধানিক বলেছিলেন রনিল।আরও পড়ুন: সিরিয়ায় নিহত সিদ্ধার্থ ধর, কে এই বাঙালি জঙ্গি?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী বদলের সাংবিধানিক অধিকার নেই প্রেসিডেন্টের। সিরিসেনা-রাজাপক্ষের দলের মিলিত আসনের চেয়ে এখনও ১১টি বেশি আসন রয়েছে রনিলের। আরও সাতটি আসন পেলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাই রনিল শিবির দাবি করে চলেছে, দেশের রাশ এখনও তাদেরই হাতে। সেই রাশ কেড়ে নিতেই আপাতত পার্লামেন্ট বরখাস্তের রাস্তায় গেলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

(আমেরিকা থেকে চিন, ব্রিকস থেকে সার্ক- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

Srilanka Parliament Suspension Ranil Wickremesinghe Maithripala Sirisena
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy