Advertisement
E-Paper

ব্রেক্সিট নিয়ে ফের কড়া মে

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ব্রেক্সিট হচ্ছেই। এ বিষয়ে আমরা পুরোপুরি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ নিয়ে কেউ মনে যেন কোনও সংশয় না রাখেন।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আর ঠিক ষোলো মাস। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টার সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এক প্রবন্ধে আজ এই কথা লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ব্রেক্সিট হচ্ছেই। এ বিষয়ে আমরা পুরোপুরি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ নিয়ে কেউ মনে যেন কোনও সংশয় না রাখেন।’’ এই প্রবন্ধেই ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ব্রিটেন। তখনই দু’পক্ষ স্থির করে, বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে দু’বছর লাগবে। ২০১৯-এর ২৮ মার্চ সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

দলে এবং দলের বাইরে ব্রেক্সিট-বিরোধী বহু স্বরকে সমানে সামলাতে হচ্ছে মে-র। এই প্রবন্ধে সেই সব ‘ইউরোস্কেপ্টিক’কে এক হাত নিয়েছেন মে। তাঁর হুমকি, ‘‘ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ইতিবাচক মন্তব্য করুন। কিন্তু কেউ যদি এই প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা বরদাস্ত করা হবে না।’’

মে-র এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই ব্রিটিশ কূটনীতিক জন কার মন্তব্য করেন, ‘‘ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া একমুখী, বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত একবার নেওয়া হলে আর ফেরত আসা যায় না, এই ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল।’’ লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা লিখেছিলেন এই কূটনীতিক-ই। ফলে তাঁর এই মন্তব্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে। কারের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মে, ভোটারদের বিভ্রান্ত করা থামান। আমরা এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আছি, এবং সদস্যদেশ হিসেবে মত বদলানোর পূর্ণ অধিকার আমাদের রয়েছে। সাধারণ মানুষের এটা জানা উচিত।’’ লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা প্রয়োগ করার সময় মে বলেছিলেন, ‘‘ফেরত আসার আর কোনও পথ নেই।’’ কারের মতে, ‘‘আমরা ‘ফেরত আসব না’, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আইন কিন্তু তা বলছে না। দেশ এখনও ঠিক করতে পারে, মত পাল্টানো হবে কি না। আর আমরা মত পাল্টালে অন্য পক্ষ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) যে খুব খুশি হবে, তা আমরা এত দিনে বুঝতে পেরেছি।’’ ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় বারবার ‘বিবাহবিচ্ছেদের’ অনুষঙ্গ উঠেছে। সেই পথেই হেঁটে কার বলেন, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদের আগে তো দু’পক্ষকে মিটমাট করার জন্য একটা সময় দেওয়া হয়। আমরা এখন সেই পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’’

টেরেসা মে Theresa May British Parliament ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy