ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এসেছিলেন পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ সিয়েরা লিওনি থেকে। সে দেশের ফ্রিটাউন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন কপাল জোরে। নিজের দেশে গৃহযুদ্ধে উত্তাল যখন, তিনি উদ্বাস্তু হয়ে পরিবারের সঙ্গে চলে এসেছিলেন ব্রিটেনে। জীবনের নিরপত্তা পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল বাবার কাছে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ। তার থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি লেমিকে।
মাত্র ৭ বছর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু। ১১ বছর বয়সেই জুনিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন লেমি। তিনি ছিলেন কনিষ্ঠতম ক্যারাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাঁর বয়সের গণ্ডিতে তিনি পেয়েছিলেন দুটি রুপো ও একটি সোনা, যা বিশ্বরেকর্ড। তার পরেও ক্যারাটের জন্য নয়, সুগঠিত শরীর ও খোলামেলা পোশাকের জন্য তিনি এখন ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
তাঁর পেশিবহুল শরীরে যেন ঝরে পড়ে এক অন্যরকম আবেদন। কখনও মাইক্রো বিকিনিতে, কখনও আবার ক্রপ টপে তিনি তাক লাগিয়ে দেন। এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষের বেশি তাঁর ফলোয়ার রয়েছে ইনস্টাগ্রামে। কোনও ছবিতে লাখ, কোনও ছবিতে ৭০-৮০ হাজার লাইক ও কমেন্ট প্রতিদিনই দেখা যায় লেমির অ্যাকাউন্টে। সব মিলিয়ে তিনি এখন নেটমাধ্যমের অন্যতম তারকা।
লেমি বলছেন, ‘‘আমি আমার কাজ, ব্যক্তিগত জীবন ও শরীরচর্চার মধ্যে একটি সাম্য বজায় রাখতে চেষ্টা করি। আর পাঁচ জনের মতোই আমার রোজকার জীবন। দিনে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে চেষ্টা করি। সকালে উঠে পড়ি ঘুম থেকে। যত বেশি সম্ভব কাজে মন দিতে চেষ্টা করি। সকালে উঠে একটা কড়া কফি খাই। তার পর সারাদিন অলস বা ক্লান্ত হতে দিই না নিজেকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy