প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে গত এক মাসে। টিকাকরণ শুরু হয়েছে অনেক দেশেই। তবে ভাইরাস কবে নিশ্চিহ্ন হবে জানা নেই! এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর রোগ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। বরং তাদের সন্দেহ, অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করতে পারে ভাইরাস।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি)-এর প্রধান অ্যান্ড্রিয়া অ্যামন একটি সাক্ষাৎকারে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে বলেই কোনও ভাবে হালকা ভাবে দেখা যাবে না অতিমারিকে। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, ভাইরাসটি খুব সহজে নিজেদের মধ্যে বদল ঘটাতে পারে। সময়ের ব্যবধানে ভ্যাকসিনেও সেই মতো বদল ঘটাতে হবে। যেমন ফ্লু-র ক্ষেত্রে করা হয়।’’ স্টকহলমে ইসিডিসি-র দফতরে বসে অ্যামন আরও বলেন, ‘‘এই সব থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, ভাইরাসটি পৃথিবী থেকে এত সহজে নিশ্চিহ্ন হওয়ার নয়।’’
বিশ্ব জুড়ে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা বর্তমানে ১০ কোটি ৮৮ লক্ষ। ২৩ লক্ষ ৯৫ হাজার মৃত্যু। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মতে, গত এক মাসে ৪৪.৫ শতাংশ কমেছে সংক্রমণ। কিন্তু সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, যত দিন না বিশ্বের সব দেশে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, তত দিন অতিমারি শেষ হবে না। মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট-এ খোলা চিঠি দিয়ে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন মজুত করে রাখছে। এ ভাবে চললে গোটা বিশ্বের করোনা-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বছরের পর বছর কেটে যাবে।’’
এরই মধ্যে আজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ৬-১৭ বছর বয়সিদের শরীরে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী, তা জানতে ট্রায়াল শুরু করছে তারা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা জুটির তৈরি ‘চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯’ প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে বলে আগেই প্রমাণ পেয়েছে তারা। এ বার শিশু-কিশোর-কিশোরীদের শরীরে কেমন কাজ দিচ্ছে, সেটা দেখা হবে, জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়াল প্রোগ্রামের প্রধান অ্যান্ড্রু পোলার্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy