Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Li-Meng Yan

চিনকে দুষে কি টুইটারে বাতিল বিজ্ঞানী

বিজ্ঞানীর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত বেজিংয়ের চাপেই বলে মনে করছেন অনেকে।

চিনা ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান।—ছবি সংগৃহীত।

চিনা ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান।—ছবি সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:২৬
Share: Save:

নোভেল করোনাভাইরাস উহানেরই সরকারি ল্যাবে তৈরি বলে চিনের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তোলা চিনা ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ানের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হল। এর আগেও বেজিংকে নিশানায় রেখে ইয়ানের করা একাধিক টুইটে ‘কমিউনিটি রুল ভায়োলেশনের’ নোটিস পাঠিয়েছিল টুইটার। তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা নিয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি কর্তৃপক্ষ।

এক সময় হংকংয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথে সংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করা এই তরুণী বিজ্ঞানীর দাবি, প্রাণের ভয়ে সম্প্রতিই তিনি পালিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছেন। গত শুক্রবার এক ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ান দাবি করেন, করোনার উৎপত্তির সব প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। বেজিং তা জানতে পেরেই তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ইয়ানের এই দাবি যদিও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলে ইতিমধ্যেই তা খারিজ করে দিয়েছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বার করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে টুইটারও। যদিও তাদের তরফে বিজ্ঞানীর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত বেজিংয়ের চাপেই বলে মনে করছেন অনেকে।

ইয়ান দাবি করেছিলেন, উহান শহরে ‘নতুন নিউমোনিয়া’ এবং এক ‘অজানা ভাইরাসের’ সংক্রমণের খবর পেয়ে গত ডিসেম্বর থেকে গবেষণা শুরু করেন তিনি। আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, এই ভাইরাস কিছুটা সার্স বা সাধারণ করোনাভাইরাসের মতো হলেও, অনেক বেশি সংক্রামক এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশ্য দাবি, ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মানুষ-থেকে-মানুষে ছড়ায় এমন কোনও সংক্রমণ নিয়েই গবেষণা করেননি ইয়ান।

আরও পড়ুন: হারাচ্ছে হাজারো পরিযায়ী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE