প্রাক্তন আল কায়দা নেতা আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করল আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন ফৌজের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টিকম) জানিয়েছে হামলায় আইএসের পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম শীর্ষনেতা ধিয়া জাওবা মুসলি আল-হারদানি এবং তাঁর দুই পুত্র নিহত হয়েছেন।
পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা জানিয়েছে, মুসলির নিহত দুই পুত্র আবদুল্লাহ ধিয়া আল-হারদানি এবং আবদ আল-রহমান ধিয়া জাওবা আল-হারদানির আইএসের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় আইএস ঘাঁটিতে আকাশপথে হানা দিয়েছিল মার্কিন সেনা। ট্রাম্প স্বয়ং বড়দিনের অভিযানে অংশ নেওয়া সেনাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় আইএস ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছিল পেন্টাগন।
আরও পড়ুন:
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর হাতে রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। সেই গৃহযুদ্ধপর্বে এইচটিএস বাহিনীকে ধারাবাহিক মদত দিয়েছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য তুরস্ক। চলতি বছরের মে মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আল-শারা। এর পরেই আমেরিকার উদ্যোগে রাষ্ট্রপুঞ্জ সিরিয়ার উপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল। রাজধানী দামাস্কাস-সহ সিরিয়ার অধিকাংশ অংশ এখন আল-শারা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েকটি এলাকা এখনও আইএসের দখলে।