Advertisement
E-Paper

আমরা চাইলেই চিনকে ধ্বংস করে দিতে পারি! হুমকি ট্রাম্পের, আমেরিকার স্বার্থে ঘা লাগার চিন্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট

চিনের সঙ্গে শুল্ক সংঘাতের জেরে আমেরিকার স্বার্থ যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন ট্রাম্প। সেই কারণে প্রয়োজনে চিনের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ১১:১৩
(বাঁ দিকে) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আমেরিকা চাইলেই চিনকে ধ্বংস করে দিতে পারে! শুল্কযুদ্ধের আবহে এ বার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশকে এমনটাই হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রয়োজনে চিনের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হতে পারে, এমনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বস্তুত, চিনের সঙ্গে শুল্ক সংঘাতের আবহে আমেরিকারও স্বার্থে ঘা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ট্রাম্প। সেই আশঙ্কা থেকেই বেজিংয়ের উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকের পরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতাকে পাশে নিয়েই চিনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বেজিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওদের (চিনের) হাতে কিছু তাস রয়েছে। আমাদের কাছেও অসাধারণ কিছু তাস আছে। কিন্তু আমি সেই তাসগুলি খেলতে চাই না। যদি আমি সেই তাসগুলি খেলি, তা হলে চিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি ওই তাসগুলি খেলব না।” এ কথা বলার সময় ট্রাম্প এ-ও জানান, বেজিঙের সঙ্গে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান।

বেজিঙের উদ্দেশে ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির মূলেও রয়েছে ব্যবসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশঙ্কা করছেন, উদ্ভূত বাণিজ্যিক সমীকরণে আমেরিকাকে চুম্বক রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে চিন। সেই আশঙ্কা থেকেই চিনের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি। ট্রাম্পের কথায়, “আমাদের জন্য চুম্বক দিতেই হবে ওদের (চিনকে)। যদি ওরা আমাদের চুম্বক না দেয়, আমরা ওদের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেব।” বস্তুত, বিশ্ববাজারে চুম্বকের উপর একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে চিনের। সংবাদমাধ্যম ‘সিএনবিসি’ অনুসারে, এই বিরল খনিজের বৈশ্বিক বাজারের ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে চিন।

আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে গত এপ্রিল থেকে ওয়াশিংটনে চুম্বক রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল বেজিং। তবে তা ছিল সাময়িক কড়াকড়ি। জুন মাস থেকেই আবার আমেরিকায় চুম্বক রফতানি বৃদ্ধি করেছে চিন। আমেরিকার সরকারি তথ্য অনুসারে, গত জুন মাসে চুম্বক রফতানি ৬৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। জুলাইয়ে তা আরও ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই চিনা বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আমেরিকায় যেতে পারে আলোচনার জন্য। এই আবহে ট্রাম্পের হুমকি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই মনে করছেন, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আগে চিনকে চাপে রাখতেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

চিনের ‘চুম্বক-তাস’-এর পাল্টা আমেরিকার ‘বোয়িং-তাস’ রয়েছে, তা-ও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, আমেরিকাকে চিন চুম্বক দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পরে ওয়াশিংটনও ইচ্ছাকৃত ভাবে বোয়িং বিমানের যন্ত্রাংশ বেজিঙে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলে চিনের ২০০ টি বিমান মাটিতে পড়ে ছিল বলে দাবি ট্রাম্পের।

Donald Trump China USA US Tariff War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy