Advertisement
E-Paper

বাজার দখলে বিধিভঙ্গ! শুনানি-ডাক পিচাইদের

এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা চার প্রভাবশালী সিইও কী ভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন, সেটাই ছিল দেখার। সূত্রের খবর ছিল, সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিজেদের সংস্থার বাড়বাড়ন্তকে আদতে ‘আমেরিকার সাফল্যগাথা’ হিসেবেই দেখাবেন তাঁরা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৬
অ্যামাজ়নের সিইও জেফ বেজোস, অ্যাপলের সিইও টিম কুক, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ।—ছবি এপি।

অ্যামাজ়নের সিইও জেফ বেজোস, অ্যাপলের সিইও টিম কুক, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ।—ছবি এপি।

অনলাইন বাজারে নিজেদের একচেটিয়া দাপট বজায় রাখতে কেউ নিয়ম ভাঙছে না তো! কিছু অভিযোগ আর তথ্য-প্রমাণ হাতে আসার পরে, এক বছর ধরে এ নিয়েই তদন্ত করছে মার্কিন কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় সাব-কমিটি ও ফেডারেল ট্রেড কমিশন। স্থানীয় সময় আজ দুপুরে সেই সংক্রান্ত ‘অ্যান্টি-ট্রাস্ট’ (বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত মার্কিন আইন বিষয়ক) শুনানিতে হাজিরা দিলেন অ্যামাজ়ন, ফেসবুক, গুগল ও অ্যাপলের চার সিইও। শুনানি ভার্চুয়াল হলেও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছিলেন, আজ কংগ্রেসের তরফে বড়সড় প্রশ্ন-ঝড়ের মুখে পড়বেন অ্যামাজ়নের জেফ বেজোস, ফেসবুকের মার্ক জ়াকারবার্গ, গুগলের সুন্দর পিচাই এবং অ্যাপলের টিম কুক। বস্তুত, পরিস্থিতি তেমনই।

এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা চার প্রভাবশালী সিইও কী ভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন, সেটাই ছিল দেখার। সূত্রের খবর ছিল, সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিজেদের সংস্থার বাড়বাড়ন্তকে আদতে ‘আমেরিকার সাফল্যগাথা’ হিসেবেই দেখাবেন তাঁরা। গভীর রাতের খবর, শুনানি চলছে। উপভোক্তাদের তথ্য পাচারের অভিযোগে আগেও কংগ্রেসের মুখোমুখি হয়েছেন জ়াকারবার্গ। কিন্তু এ বার ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মূলত বাজার জবরদখল এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারে অনৈতিক প্রতিযোগিতায় শামিল হওয়া। অ্যাপলের অ্যাপ-স্টোর নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অ্যামাজ়ন বিদ্ধ তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতার অনৈতিক তথ্য ব্যবহারের অভিযোগে। আর গুগলের দিকে আঙুল উঠেছে তাদের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন এবং বিজ্ঞাপন আদায়ের কৌশল নিয়ে। ১৯৯৮-এ এমনই একটি তদন্তের শুনানিতে ওয়াশিংটনে যেতে হয়েছিল মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে। কিন্তু এ বার যে ভাবে চার কর্তাকে এক শুনানিতে ডাকা হল, তা অভূতপূর্ব। বিশেষত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যখন আর ১০০ দিনও বাকি নেই।

চার সিইও-কে শুনানিতে ডাকার আগে প্রত্যেকটি সংস্থার এগজিকিউটিভ, আইনি পরামর্শদাতাদের সাক্ষ্য নিয়েছে বিচার বিভাগীয় কমিটি। হাউসের সামনে তাঁরা কী বলতে চলেছেন, তার মোটামুটি একটা আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সুন্দর-কুকেরা। আমেরিকার শতাব্দী-প্রাচীন অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উড়িয়েই জ়াকারবার্গ মন্তব্য করেছেন, ‘‘মার্কিন সংস্থা হিসেবে ফেসবুক গর্বিত। সুস্থ প্রতিযোগিতা এবং ব্যবসায় নিত্য-নতুন উদ্ভাবনে দেশের আইনের সহযোগিতা ছাড়া আজ এই জায়গায় আমরা পৌঁছতেই পারতাম না।’’ অ্যামাজ়নের সিইও তথা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বেজোস আবার কাল একটি ব্লগে লেখেন, ‘‘প্রয়োজনে অ্যামাজ়নেও স্ক্রুটিনি হোক। কিন্তু হাজারো সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়েও নিজেদের ব্যবসা-পদ্ধতিতে যখন কোনও ভুল দেখি না, তখন খামোখা ভয় পেতে যাব কেন!’’ তিনি আজই প্রথম কোনও তদন্ত-শুনানিতে কংগ্রেসের মুখোমুখি হচ্ছেন। অন্য দিকে, গুগল অ্যালফাবেট কী ভাবে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আমেরিকাকে প্রযুক্তি-দুনিয়ায় শীর্ষে তুলে ধরছে, সূত্রের খবর, সেই ব্যাখ্যাই দিতে চলেছেন গুগল-কর্তা সুন্দর। কিন্তু গুগল সার্চে যে তাঁদেরই একচেটিয়া বাজার! কী ভাবে সম্ভব। সুন্দরের সাফ ব্যাখ্যা, সার্চ ইঞ্জিন তো আরও অনেক আছে।

Online Shopping Amazon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy