প্রতীকী চিত্র।
সাদা খাতা জমা দিয়ে ‘এ’ পেলেন এক জাপানি ছাত্রী। যদিও সে অর্থে তিনি খালি খাতা জমা দেননি। তাঁর খাতায় দৃশ্যমান কালিতে লেখা ছিল, পড়ার আগে উত্তপ্ত করুন। আসলে ওই ছাত্রী ‘নিনজা স্টাইল’-এ লিখে উত্তরপত্র জমা দিয়েছেন। আর তাঁর শিক্ষকও এতটাই মুগ্ধ ছাত্রীর কায়দায়, যে তিনি খুশি হয়ে তাঁকে সেরা নম্বর দিয়ে দিলেন।
জাপানের মিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিনজা ক্লাবের সদস্য এইমি হাগা (১৯)। এইমিদের একটি প্রবন্ধ লিখতে দেওয়া হয়। বিষয় ছিল,জাদুঘর দেখতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।সেই প্রবন্ধ লিখে খাতা জমা দিয়ে দেন শিক্ষক উজিইয়ামাদা-র কাছে। ইয়ামাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও নিনজা সংস্কৃতি পড়ান। ইয়ামাদা আগেই পড়ুয়াদের বলেছিলেন উদ্ভাবনি ক্ষমতা দেখাতে পারলে অতিরিক্ত নম্বর দেবেন।
এইমির খাতার দৃশ্যমান লেখাটি দেখেই ইয়ামাদা বুঝতে পারেন, তাঁকে খাতাটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়তে হবে। খাতা হাতে পাওয়ার পর তিনিও বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন। দেখতে চাইছিলেন, সত্যি এইমি যা করতে চেয়েছেন, তা পেরেছেন কিনা।
আরও পড়ুন : কর্নাটকে মন্দিরের সামনে সাত মাথাওয়ালা সাপের খোলস উদ্ধার
বাড়িতে গিয়েস্টোভের উপর খাতাটি রেখে গরম করতেই ফুটে ওঠে এইমির লেখা। এটা দেখেই ইয়ামাদা ভীষণমুগ্ধ হন। এইমি প্রবন্ধও ভাল লিখেছিলেন। এইমির প্রচেষ্টা সফল।সব মিলিয়ে এইমিকে‘এ’ মার্ক দেন ইয়ামাদা।
আরও পড়ুন : মায়ের লাইভ বুলেটিন চলাকালীন স্টুডিয়োতে ঢুকে পড়ল ছেলে
এইমি এই কালি বিশেষ পদ্ধতিতে সোয়াবিন ও পেস্ট দিয়ে তৈরি করেছিলেন।তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানান, তিনটি আলাদা আলাদা ধরনের কাগজ ব্যবহার করেন। দেখেন কোনও কাগজে সব থেকে ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। কারণ কাগজ যদি খুব পাতলা হয়, তাহলে তা আগুনে পুড়ে যাবে। আবার যদি সেটি খুব মোটা হয় তবে কালি শুষে নিতে সময় লাগবে। সব মিলিয়ে এই ‘নিনজা কালি’ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত একটি কাগজ খুঁজে পান এইমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy