চিনের হাঙঝাউ বিমানবন্দরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান ‘এয়ারফোর্স-ওয়ান’ অবতরণের পর। শনিবার।
‘অসংযমে’র জবাবটা এল সংযমে। আর যতটা সম্ভব কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে সেই জবাবটা দেওয়া যায়, ততটাই মাপজোক করে ‘রিটার্ন’টা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
‘জি-২০’ জোটের বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার চিনের হাঙঝাউ বিমানবন্দরে ‘এয়ারফোর্স-ওয়ান’ নামার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের সঙ্গে যে অভব্য আচরণ করা হয়েছিল, তা নজর এড়িয়ে যায়নি ওবামার। ভালও লাগেনি বোঝাতে প্রেসিডেন্ট ওবামা রবিবার বললেন, ‘‘এটা অহমিকার কথা নয়। আমরা (মার্কিন) অন্য কোনও দেশে সফরে গেলে আমাদের মূল্যবোধ ও আদর্শগুলোকে ঘরে রেখে আসি না। আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসি। তাতে সংঘাত লাগতেই পারে। বিরোধ হতে পারে।’’ বিচক্ষণ কূটনীতিক প্রেসিডেন্ট ওবামা এক বারও চিনা নিরাপত্তা অফিসারদের শনিবারের কূটনৈতিক অসৌজন্যের কথা বলেননি। এক বারও বলেননি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইসের প্রতি অশালীন আচরণ করে অভব্যতার পরিচয় দিয়েছেন চিনা নিরাপত্তা কর্তারা। কিন্তু ইঙ্গিতটা যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোন দিকে, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি।
শনিবার হাঙঝাউ বিমানবন্দরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান নামার পর তাঁর সফরসঙ্গী হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সেলের কর্তা ও মার্কিন সাংবাদিকদের যে ‘অভাবনীয়’ হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল, তাতেও কিছুটা বিব্রতই হয়েছেন ওবামা। তাই রবিবার বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে সাংবাদিকদের একটু অন্য চোখে দেখা হয়। ওঁদের (সাংবাদিক) প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়ার জন্য পরে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে, এটা আমরা ভাবতেই পারি না।’’
আরও পড়ুন- ভ্যাটিকানে মাদার টেরিজার সন্তায়নের ছবি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy