Advertisement
E-Paper

সন্ত্রাসের স্পনসর পাকিস্তান: বিপুল সমর্থন আমেরিকায়

বেশি বাড়াবাড়ি করলে ‘দাদা’রও বিরক্তি লাগে! ‘দাদা’কেও যে কৈফিয়ত দিতে হয়, পাকিস্তানের মদতে লাগাতার সন্ত্রাসের জন্য! তাই মার্কিন প্রশাসনে বহু দিনের পাক ‘মৌরসি পাট্টা’র দিন কি এ বার শেষ হয়ে এল? ‘পাকিস্তান কি সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্র?’, অনলাইনে এই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তাতে অন্তত পাঁচ লক্ষ মার্কিন নাগরিক স্বাক্ষর করে জানিয়েছেন, হ্যাঁ, তাঁরা পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলেই মনে করেন। হোয়াইট হাউসের পাঠানো কোনও প্রশ্নে মার্কিন নাগরিকদের এই ব্যাপক সাড়া দেওয়ার ঘটনাটি একটি রেকর্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৬ ১৭:১৭

বেশি বাড়াবাড়ি করলে ‘দাদা’রও বিরক্তি লাগে! ‘দাদা’কেও যে কৈফিয়ত দিতে হয়, পাকিস্তানের মদতে লাগাতার সন্ত্রাসের জন্য! তাই মার্কিন প্রশাসনে বহু দিনের পাক ‘মৌরসি পাট্টা’র দিন কি এ বার শেষ হয়ে এল?

‘পাকিস্তান কি সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র?’, অনলাইনে এই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তাতে অন্তত পাঁচ লক্ষ মার্কিন নাগরিক স্বাক্ষর করে জানিয়েছেন, হ্যাঁ, তাঁরা পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলেই মনে করেন। হোয়াইট হাউসের পাঠানো কোনও প্রশ্নে মার্কিন নাগরিকদের এই ব্যাপক সাড়া দেওয়ার ঘটনাটি একটি রেকর্ড। কোনও নাগরিক দাবি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের ভাবনা-চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বাধিক ৩০ দিনের মধ্যে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন, তার পাঁচ গুণ মানুষ স্বাক্ষর করে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন এ বার অনলাইনে হোয়াইট হাউসের পাঠানো প্রশ্নে। ফলে, পাকিস্তানকে এ বার আমেরিকা ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ‘বল’টা পৌঁছে গিয়েছে ওবামা প্রশাসনের ‘কোর্টে’। সেই ‘বল’টা ওবামা প্রশাসন এ বার কী ভাবে ‘রিটার্ন’ করবে, তারই অপেক্ষায় এখন গোটা বিশ্ব।

মার্কিন নাগরিকদের কাছে হোয়াইট হাউসের এই অনলাইনে পাঠানো প্রশ্নটির আদত ‘প্রশ্নকর্তা’ ছিলেন এক মার্কিন নাগরিক। গত ২১ সেপ্টেম্বর যিনি ওই প্রশ্নটি পাঠিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। পাঠানো প্রশ্নের নীচে নিজের নাম স্বাক্ষর করেছিলেন ‘আরজি’ বলে। অনলাইনে সেই প্রশ্নটিই মার্কিন নাগরিকদের কাছে ‘ফরওয়ার্ড’ করে দিয়েছিল হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস, ‘জনগণ-মন’ বুঝতে। মার্কিন নাগরিকরা কী ভাবছেন, সেটা আঁচ করতে।

মার্কিন সংবিধান বলে, এমন কোনও প্রশ্নে যদি ৩০ দিনের মধ্যে অন্তত এক লক্ষ মার্কিন নাগরিক কোনও মতামত জানিয়ে থাকেন, তা হলে তার ওপর মার্কিন প্রশাসনকে তার ভাবনা-চিন্তার কথা কোনও রাখ-ঢাক না রেখেই জানাতে হবে প্রকাশ্যে। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলে মনে করেন এমন পাঁচ লক্ষ মার্কিন নাগরিক এ বার হোয়াইট হাউসের পাঠানো প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার পাঁচ গুণ। ফলে, পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলে মনে করে কি করে না, এই প্রশ্নটার উত্তরটা এ বার প্রকাশ্যে দিতেই হবে ওবামা প্রশাসনকে। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী এটা অনিবার্যই। সর্বাধিক ৬০ দিনের মধ্যে।

ঘটনা হল, এর পরেও উৎসাহে ভাটা পড়েনি মার্কিন নাগরিকদের। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অঞ্জু প্রীত তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আমরা যত ক্ষণ না কম করে দশ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারছি, তত ক্ষণ থামছি না। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সেই সুযোগটা রয়েছে।’’

ও দিকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের হাউ়জ সাবকমিটির চেয়ারম্যান টেড পো ও ডানা রোহরাবাচার শনিবারই ‘পাকিস্তান স্টেট স্পনসর অফ টেররিজম ডেজিগনেশন অ্যাক্ট’ বিলটির খসড়া সংশোধনীটি আলোচনার জন্য তুলেছেন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে।

আরও পড়ুন- ভুল নীতির জন্যই পাকিস্তান আজ একঘরে, বোমা মুশারফের

White House Petition To Declare Pak Terror Sponsor Gets Record Support White House US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy