ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কি না, সেই বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “বাস্তব এই যে, অদূর ভবিষ্যতে (ইরানের সঙ্গে) বোঝাপড়ায় আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি সেই পথে হাঁটব কি না, সেই বিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আনার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথ এখনই বন্ধ করে দিতে চান না ট্রাম্প। কিন্তু তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সায় নেই, তা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিক সমাধানই চান। তিনি শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেরা একজন। যদি কূটনৈতিক সমাধানের কোনও পথ থাকে, অবশ্যই প্রেসিডেন্ট সেই পথ ধরে হাঁটবেন।”
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ়’-এর একটি প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শেষেই ইরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা।বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আমেরিকা সত্যিই ইরানকে আক্রমণ করবে কি না। জবাবে ধোঁয়াশা বজায় রেখে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি এটা করতে পারি। আবার না-ও করতে পারি।’’ আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে নামবে কি না, তা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন ইজ়রায়েল সরকারের এক কর্তা।
আরও পড়ুন:
সেই সমস্ত দিক বিশ্লেষণ করলে আপাতত কয়েক দিন ইরানের সঙ্গে আমেরিকা সংঘাতে জড়াচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার কথা বলে তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় যে ভাবে একাধিক বার কূটনীতি এবং কূটনৈতিক সমাধানের মতো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে আপাতত আলোচনার দরজা খুলে রাখছে ওয়াশিংটন। অনেকের আবার দাবি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক বিবেচনা করে দেখে নিতে চাইছে পেন্টাগন।