এই পণ্যবাহী জাহাজটিকেই ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।
লোহিত সাগর ধরে ভারতে আসার সময়ে ছিনতাই করা হয়েছে একটি পণ্যবাহী জাহাজকে। এই ঘটনায় ইয়েমেনের জঙ্গি সংগঠন হুথির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ইজ়রায়েল। ছিনতাই করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে হুথিও। তবে কেন তারা জাহাজটিকে অপহরণ করল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে তারা।
হুথির তরফে দাবি করা হয়েছে, ইজ়রায়েলের মালিকানাধীন বলেই জাহাজটিকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে কব্জা করেছে তারা। যদিও ইজ়রায়েল দাবি করেছে, জাহাজটি ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন। ইজ়রায়েলের একটি সূত্রের খবর, পণ্যবাহী সংস্থাটি যে সংস্থার মালিকানাধীন, তার মালিক ইজ়রায়েলের অন্যতম ধনী ব্যক্তি আব্রাহাম রামি উঙ্গার।
কিন্তু কেন ‘ইজ়রায়েলের জাহাজ’কে ছিনতাই করতে চায় হুথি? গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই পশ্চিম এশিয়ার বেশ কিছু সশস্ত্র সংগঠন সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পাশে দাঁড়ায় এবং ইজ়রায়েলি ‘আগ্রাসন’-এর নিন্দা করে। হুথিও এই সংগঠনগুলির মধ্যে একটি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ইজ়রায়েলকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়ে হুথি। কিন্তু ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ সাফল্য পায়নি তারা। ইরানের আর্থিক এবং সামরিক মদতেই হুথির এই বাড়বৃদ্ধি বলে মনে করেন অনেকে।
গোড়াতেই জাহাজ ছিনতাই করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে হুথি জানিয়েছে, একটি ইজ়রায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হয়েছে। যদিও ইজ়রায়েলের পাল্টা দাবি, জাহাজটি তাদের নয়। জাহাজে ইজ়রায়েলের কোনও নাগরিকও ছিলেন না। হুথির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক নীতি এবং আদর্শ অনুযায়ী তাদের হেফাজতে রাখা হবে। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জাহাজটি আপাতত ইয়েমেনের একটি বন্দরে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy